প্রেম-প্রকৃতি
গাজী মোশাররফ
চৈাত্রের ভরাদুরবেলা আম্র কাননে
পত্র-বিথীকার অরন্য কুটিরে মননে-নয়নে
এসেছিলে নরম মাটির ক্ষীরের লহন
ডাকিলে মোরে আপনার তরে সজলনয়নে
ভাবলাম,এ-প্রেয়সী প্রেম পূজারী আমার।
কাকের কলশ উবু হয়ে ছলত-ছলত জল গড়ায়
জলসিক্ত চরনচিহ্ন একেঁ যায় মুক্তির বাতায়ন।
প্রিয়তমা কিষাণী আমার,সবুজে ভরা আইল,
মাড়িয়ে ভরা-দুপুর বেলা হৃদয়-মন্দিরে
আঁকিয়েছো যার ছবি হলুদ ফুলের আবরনে।
গামছা মাথায় বিলের ধারে সজাগ দৃষ্টিতে
আপন মনে আপনারে লয়ে গাহিছে গান।
ভাবনাগুলো ছিন্ন-ভিন্ন এলোমেলো হয়ে যায়
কালবৌশাখীর করাল গ্রাসে রুপালী ধানের
ক্ষত-বিক্ষত,বিবর্ন বিভসৎ অনাগত ক্ষতি।
হঠাৎ ! দেখি ত্রিভুজ প্রেমের ত্রিকোন
সম্মুখ সমরে বানের পানির মত
রুখ মৃত্তিকার খন্ড-খন্ড জ্যামিতি
আতঙ্কে পিপাসায় লাফিয়ে উঠে।
প্রেয়সী শিহরিত হস্তে শোভিলে মোরে
সংহরণ করলে সুখদ লজ্জায়
নয়ন কাজলে আটকালে বিষাদে ভরা এ-হৃদয়।
আনিলে নতুন প্লাবন,নতুন ধানে শীষে।
জানিনা,জানা হবে কিনা কোন দিন?
পুস্প-পল্লব ডাকিয়া কহে কিনা ?
সোনালী ধানের সোনালী আবরনে
স্বপনের মাঝে উড়ে চলে আমার আমি
প্রতিদিন আমার কাছে ফিরে আসে
নতুন ধানের শীষ হয়ে সলজ্জ কিষাণী।
মেঘ-রোদ আর কুয়াশা পিটের উপর উবু হয়ে
শীত-বরষা আর গরম পার করে জোয়াল কাধে নিয়ে।
শ্রাবণ সন্ধ্যা বেলা কিষান বধূর মায়ার আচঁলে
হাতের হুকা পাশে রেখে গীত গায় আপন তরে
মৃগনয়না মগা মাগিয়াছে প্রাণভরিয়া
ললাটে জড়ানো চিকুন হাসির দরিয়া
নিরালায় নিরিবিলি দিতে চাই আপন অঙ্গ
আমি বেহুস সুখের তরে-অবিরত অন্তকাল ধরিয়া
ভাল লাগার মত কবিতা…
ধন্যবাদ