প্রিয় অপ্সরা,
আকাশটা আজ ডেকে বললো, কাল তুমি লালপেড়ে
সাদা শাড়িটা পরলে এক খন্ড মেঘ উপহার দেবে আমায় ;
তোমার আঁচলে থাকবে নিঃসীম ছায়ামেঘ,
আর আমি তার নিচে টুপ করে ঢুকে সূর্য লুকোবো!
তুমি তো জানোই, বৃষ্টি আমার ডাকপিয়ন,
কত দিন হলো বৃষ্টি আসেনি, চিঠিও না।
আমাকে একমুঠো বৃষ্টি দেবে, অপ্সরা ?
ঐ যে রাস্তার পাশে যৌবনা দিঘী,
যেখানে প্রতিদিন শত শত শ্বেত পদ্ম ফোটে।
তোমার সাদা শাড়িটা ভিজিয়ে আমার মুখে একটু রাখবে?
আমি মেঘ দেখব, বৃষ্টি দেখব, পদ্ম দেখব।
তুমি কাল ঐ টিপটা পরো
সাথে ঐ লালপেড়ে সাদা শাড়িটাও!
কাল আমার পদ্মফুল ভালো লাগবে না,
ভালো লাগবে না ঘ্রানটাও!
আর হ্যাঁ ভালো কথা,
যে স্বপ্ন আজও আমার ঘুম তাড়িয়ে বেড়ায়!
বলি তোমায়, শুনো
“কপালে তোমার টকটকে লাল আস্ত পূর্ণিমা টিপ,
হঠাৎ আমার আকাশটাও হারাল তোমার দুচোখের মাঝখানটাতে।
আমি ঠোঁট দিয়ে পবিত্র একটা মানচিত্র
আঁকতে শুরু করেছি নিপুনভাবে”
রোজ এমন সময়ই কে যেন আমার ঘুমটা যাচ্ছে ভাঙ্গিয়ে;
আচ্ছা, তুমিই কি কর এমনটা?
শোন অপ্সরা,
তোমার চোখে আমায় আর ডুবতে দিওনা,
বৈশাখী হাওয়ায় এখন আগুনঝড়া মধূচন্দ্রিমা,
তাই দমকা হাওয়া এলে আমায় ঢেকে দিও আচলে
আর পার যদি সূর্যের মুখ থেকে কেড়ে নিও আমায়।