রজনী কাটে প্রভাত হয়
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
রজনী কাটে প্রভাত হয়
মোরগ ওঠে ডেকে,
প্রভাত সূর্য ছড়ায় কিরণ
দূরের আকাশ থেকে।
তরুর শাখায় বিহগ সকল
করে মধুর সুরে গান,
অজয় নদী কুলু কুলু বেগে
বয়ে চলে অবিরাম।
কুসুমকাননে বিকশিত হয়
সহস্র কুসুম কলি,
মধু আহরণে দলে দলে
আসে ধেয়ে যত অলি।
গরুপাল নিয়ে রাখাল রোজ
রাঙাপথ দিয়ে চলে,
মরাল ভাসে ফোটে কমল
দিঘির শীতল জলে।
পথের বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকে
বাছুরী ও রাঙী-গাই,
বনটিয়া এসে ধরে শুঁয়োপোকা
গাঁয়ের সবুজ ডাঙায়।
নদীর ঘাটে গাঁয়ের মাঝি
খেয়া পারাপার করে,
সূর্য এসে পশ্চিমের পানে
লুকায় অজয়ের চরে।
ক্লান্ত পাখিরা বাসায় ফেরে
দিবসের অবসানে,
অজয়ের ঘাটে নিশি পোহায়
ক্লান্ত নিঝুম গ্রামে।