মায়া কান্না

মোহাম্মদ কাশেম

খুব কষ্ট নিয়েই কাঁদলেন কোন এক মহান নেতা

সেটা কী লোক দেখানো কান্না না মায়া কান্না ?

উনারাতো কাঁদাতে জানেন,কিন্তু কাঁদতে জানেন না

অনেককেই বিপদে ফেলতে পারেন,নিজে পড়েন না।

 

কেন এক দেশের কিছু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে

কিছু অসহায় সাধারণ জনগণের মৃত্যুতে

যা অপ্রত্যাশিত ভাবে ঘটেছে আজব ঐ দেশটিতে,

এতেই কেঁদে বুক ভাষালেন, শোকে মর্মাহত হলেন

বিশ্ববাসীকে বুঝালেন অকপটে,সুকৌশলে,

তিনি কত মহান,তিনি কত উদার,মমতাময় নেতা।

 

দুচোখ খুলে তাকিয়ে দেখুন হে বিশ্ববাসী

সুদান,সিরিয়া,লিবিয়া ও ইরাকে

ফিলিস্থিন,আফগানিস্থান ও পাকিস্থানে

কত কী ঘটছে,

লিখে শেষ করা যায়না আর এমন প্রচুর স্থানে।

 

প্রতিদিন কত মায়ের বুক খালি হয়,

প্রতিদিন কত বাবা তাঁর স্নেহময় সন্তান হারায়,

সন্তান হারায় তাঁদের প্রিয় বাবা,

অগণিত শিশু চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়,

অনেক কিছুই ঘটে যায় আংগুলের এক ঈশারায়

তার হিসাব কী উনারা কখনও খুজে দেখে ?

 

আজ নিজের শরীরে আঘাত লেগেছে তাই

কাঁদছে, নিলজ্জের মত হু হু কাঁদছে,

অথচ অন্যের শরীরে আঘাত দিতে আনন্দ পায়

সে আনন্দ বিজয়ের আর কর্তৃত্বের আনন্দ।

 

আপনার শরীরের আঘাতে আমিও খুব ব্যথিত

আপনার অশ্রুর সাথে অশ্রু ফেলে আমিও খুব মর্মাহত,

আপনার বুক ফাঁটা কান্নায় আমিও খুব কম্পিত

আপনার অনুতপ্তের সাথে আমিও অনুতপ্ত

তাই বলছি,

বিশ্বকে সাজাবেন না নিজের বেডরুমের মত

ঐ খেলা খেলবেন না যা পরিকল্পিত।

 

বিশ্বের অনেক কর্ম,অকর্মের নাটের গুরুর একটি

অনেক অনেক গোপন সন্ত্রাসী এজেন্ট এদের সৃষ্টি।

অথচ ইচ্ছা করলেই হতে পারে অনেক দেশের আদর্শ

একটু চেষ্টা করলেই পাল্টাতে পারে এসব আজব চরিত্র।

 

তাই আমি উদাত্ত কন্ঠে আহবান করছি

পূরা বিশ্বটাকে আপনাদের নিজের শরীরের

প্রাণবন্ত অংগ প্রত্যংগের মত ভেবে দেখুন।

অন্যের শরীরের ক্ষতবিক্ষতের যন্ত্রণা

ও পৈশাচিক আচরণের আঘাত

নিজের শরীরে অনুভব করে দেখুন।

 

এতটা  কষ্ট করে কাঁদছেনই যখন

আর্টিফিসিয়াল কাঁদা না কেঁদে,ন্যাচারাল কাঁদুন

একটু পক্ষপাতহীন নিরপেক্ষ কাঁদা কাঁদুন

তাতে আপনার,আপনাদের দেশের তথা বিশ্বের

মানবতা জেগে উঠবে,ভীষণ,ভীষণ উপকার হবে বিশ্বের।

 

 

 

 

 

 

 

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes