ঘুমবতী কন্যা – ১ : অলীক স্বপ্নের মহাকাব্য

ইউফোরিক বিষণ্নতায় ছিলামতো বেশ নিজের মতোই।

অস্থিতিশীলতার তীব্র স্থিতির অন্তর্গত।
অদৃশ্য কারাগারে নিঃসঙ্গ বসবাস অহর্নিশ।
নৈঋত ঈশানকোনে চলছিলো মেঘ বৃষ্টির স্বাভাবিক সংগম।
চলছিলো আমার অনুভূতিহীন একরোখা গন্তব্যহীন পথচলা।
দিগন্ত বিস্তৃত ছিলো শুধুই বিবর্ণ নিস্তরঙ্গ সমতল।

এমন সময় এলে তুমি কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো,
তীব্র হাওয়ায় লন্ডভন্ড হয়ে গেলো সবকিছু।
আমার জীবনপঞ্জীর ধূসর পাতায় রচিত হলো নতূন কবিতা।
তোমার সঞ্জীবনী সুরায় লাগলো নতূন প্রাণের ছোয়া।
বিবর্ণ সমতল সেজে উঠলো নব পুষ্পমঞ্জরীমালায়।
পাখির কলকাকলিতে জেগে উঠলো আমার ঘুমন্ত পৃথিবী।

অল্প এই কয়দিনেই শুনিয়েছি আমার স্বপ্ন কথার সমাচার।
সংখ্যাতীতবার আওড়েছি আমার পাগলামীর যত কথা।
তোমার ঘাটে নোঙ্গর করেছি জানি না কতবার।
অসম্ভব স্বপ্নে বিভোর কাটিয়েছি দিবস রজনী।
তোমার উষ্ণ আলিঙ্গনে থমকে দাড়িয়েছে সময়।
পরাবাস্তব আবেগের দমকায় উড়িয়েছি সব ঔচিত্যবোধ!

হঠাত চোখ মেলে দেখি সবই ছিলো এক অলীক স্বপ্নের দৃশ্যপট।
স্বপ্নের ধূপকাঠির আগুন নিভে গেলেও রয়ে যায় স্নিগ্ধ সুগন্ধি।
আমার বুকে হিল্লোল তুলে স্বপ্নের ঘুমবতী কন্যা আজ উদাসীন।
কত সহস্রবার ভেবেছি, এই কি স্বপ্নের করুণ পরিণতি?
ঘুমবতী কন্যার স্বপ্ন যায় শুধু দেখা, কিন্তু যায় না যে ছোয়া।
এভাবেই শেষ হয়ে যায় একটি অলীক স্বপ্নের মহাকাব্য,
যা আজও আমায় গোপনে কাঁদায়।।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes