মৃত্যুঞ্জয়
– বলরাম সরকার
——-(৩)——-
জ্ঞানী গুনী দলে দলে
পূজার অর্ঘ্য লয়ে,
চলে কৃষ্ণপুর;
যেথা বটতলে
রহিয়াছে, শচীমাতা নন্দন।
সর্ব দুখ হরে,
হরে কৃষ্ণ হরে হরে।
মাটির মহিমা আজ
ছড়ায়েছে বহুদূর।
যেথা হতে আসে লোক
হেথা কৃষ্ণপুর।
——(২)——
কোন সে রজনী
সন্তানহীনা জননী,
পাইয়া স্বপন
জ্যোতির্ময় দরশন-
আপন স্নেহে
নদীকূল হতে আনি
বসায়েছে মুরতি খানি
বটবৃক্ষ ক্রোড়ে।
তারপর অঞ্জলি ভরে
করিয়া ছিল আপন
ভকতি নিবেদন।
——–(১)——–
আজি হতে শত বর্ষ পূর্বে
ক্ষুদ্র সে বালক
আপন দু হাতে
পুতুল খেলার তরে,
গড়ায়েছে কৃষ্ণমূর্তি খানি।
তারপর পৃথ্বীর কম্পনে
হারায়েছে সে বালক,
হারাই নাই তার সৃষ্টি;
স্নেহময়ী জননী
দিয়াছে তাহারে-
আপন ঠিকানা।