শকুন্তলা আর এক বাউণ্ডুলে

বাউন্ডুলেরা এ পৃথিবীতে কিছু করেছে কোন কালে?

ইতিহাসের দীর্ঘ পৃষ্ঠার কোন এক কোণে

লোক মুখে প্রাণ পাওয়া প্রাণোচ্ছ্বল লৌকিক কাব্যকথা বা প্রবাদ প্রতিবাদে

ট্রাফিক হর্ণ ছাড়িয়ে যাওয়া পথকলির কন্ঠ ধ্বনিতে কেঁপে ওঠে

খাম খেয়ালের দেয়াল!

যেখানে মাতৃমৃত্যু শোকে জল না ঝরায়টায়

সামাজিকতার আখ্যায়িত চির অসামাজিক জীব

যে কিনা তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতির ঐতিহাসিক দাবীতে

আন্না হাজারির পথচারকও হয়ে উঠেছিল!

কিন্তু, কে সে?

তার প্রাণ, ‘প্রাণ’ হবে কেন?

পৃথিবী চড়ে খাওয়া বৈধ কাগজপত্ররা কি কখনো জেনেছিল তার নাম?

ঠিকানা?  বাড়িঘর?  পাত্তা পাত্তি?

তার নিঃশ্বাস চলা না চলা নিয়ে যেমন বাতাসের কোন ক্ষেপণ বা কাঁপন নেই

তেমনি অক্সিজেনরাও বড্ড বিরক্ত হয় যেন ইদানিং!
ভাবনা আসে, কার্বন ডাই অক্সাইডটা কেমন থাকবে? বা কার্বন মনোক্সাইড

কফি-খোর, চা-খোর, সিগারেট-খোরের মত

মনোক্সাইড খোরের তকমাটাও শোভা পাবে, ঠিক।
তবু যদি খানিক ক্ষান্ত হতো।

আহা! আমি যদি ঈশ্বর হতাম বা তাঁর খুব কাছের কেউ!

সেবার মাঝ বাজারে পতিতালয়ের স্কুল খুলতে বলায়

শূন্য শতকের সভ্যতম প্রাণীরা সভ্যতার স্বার্থকতা প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল

ছিন্ন বাগাড়টা দূর পড়ে যাওয়ায় পিছন দিককার গরু হাটটার পিছনটায়

পড়েছিলাম শুধু শেষ বিকেলের অবশেষে!

কয়েক শকুন বা শকুনী কুন্ডলী পাকিয়ে দলবলে ভিড়ছিল সে ক্ষণ

সে দিনের পর থেকে হাটের পিছন দিককার

সেই সদ্য হওয়া বধ্যভূমিকে সভ্যরা ‘শকুন্তলা’ বলেই বলছিল।


বাউন্ডুলেরা এ পৃথিবীতে কিছু করেছে কোন কালে?

ইতিহাসের দীর্ঘ পৃষ্ঠার কোন এক কোণে

লোক মুখে প্রাণ পাওয়া প্রাণোচ্ছ্বল লৌকিক কাব্যকথা বা প্রবাদ প্রতিবাদে

পৃথিবী চড়ে খাওয়া বৈধ কাগজপত্ররা কি কখনো জেনেছিল তার বা তাদের নাম?

ঠিকানা?  বাড়িঘর?  পাত্তা পাত্তি?

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes