গাঁয়ে আছে সবুজ গাছের ছায়া

­­­­­গাঁয়ে আছে সবুজ গাছের ছায়া

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি)

 

গাঁয়ে আছে সবুজ গাছের ছায়া,

আছে ছোট ছোট মাটির ঘর,

গাঁয়ে আছে ছোট অজয় নদী,

কিনারায় তার সরু বালির চর।

 

গাঁয়ের মাঝি নৌকাখানি চালায়

সারাদিন ক্লান্ত হয়ে বৈঠা বায়,

গাঁয়ের বাউল একতারাটি নিয়ে

মিঠে সুরে বাউলের গান গায়।

 

পথের ধারে তাল খেজুরের গাছ

আর আছে সুপারি গাছের সারি,

রাঙা মাটির সরু আঁকাবাঁকা পথে

সকাল হলেই চলে গরুর গাড়ি।

 

গাঁয়ের পাশে সবুজ ধানের খেত

সবুজ সবুজ কচি কচি ধানগাছ,

গাঁয়ের দিঘিতে জেলেরা সকালে

জাল ফেলে প্রতিদিন ধরে মাছ।

 

গাঁয়ের মাঝখানে কাকু দীনুদাস

খুলেছে এক চা-পানের দোকান,

অলস দুপুরে দোকানে শুয়ে শুয়ে

চোখ বুঁজে রেডিওতে শোনে গান।

 

পাড়ার মাসী নামটি নয়নতারা

খুলেছে হোটেল এক ভাতের,

মাছের ঝোল আর ডিমের ডালনা

করে রান্না ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের।

 

সাড়ে চারটে বাজে যখন গাঁয়ে

মাঠে মাঠে পড়ে আসে বেলা,

বোস পাড়ার মাঠে ছেলেরা সব

একসাথে করে কানামাছি খেলা।

 

দিনের শেষে সোনালি আভায়

পশ্চিম দিগন্তে সূর্য পড়ে ঢলে,

সাঁঝের বেলা তারারা সব ফোটে,

জোছনা ঝরে অজয় নদীর জলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes