শুন
হঠাৎ জন্ম দেখে থমকাইনি
মাঝে মাঝে নব জাতক দেখায়
আমার অভ্যাসে আছে।
অবাক হ্ইনি
তোমাকে দেখে তাই;
তবে
শিহরিত হয়েছি বহুবার
এবং
এ প্রথম আমাকে দেখা!
বিষন্নতায় ছেয়েছে আমার মন
হয়ত দেখা উচিৎ ছিল
ঘর পালানো
বাউল হতে যখন পথে পথে।
এক একটা বছর বাড়া!
মানে, আরেক বার যন্ত্রনা
বিষন্ণতার বাতাস
আরেক বার ছুয়ে যায় আমায়।
একলা বাড়ীটা
ওটার খোজ
আমি এখন আর রাখি না;
কি লাভ?
কত পানি বয়ে যায় ডাকাতীয়ায়
বদলাবেই তো!
ভাবতাম
ঘর বানিয়ে বাড়ী’র দোরগোড়ায়
নদীর ঘাটেই বসেছি যখন
ভাবনা কি আর!
হেলান পাল যে কবে
কখন দেশ ছেড়েছে
হিসাব রাখে
কে আর এখন।
ধীরে ধীরে
নদীটা সরে যায়
আমার বাড়ীটার দরজা থেকে!
হায়রে
আমি যেন হেলান পালের
দুর্ভাগা জন্মস্হান
সরে গেছি অনেক দুরে;
কি আর হবে এসব ভেবে এখন।
জল, জবা বাশিঁ ও বর্ষা
কিছুই যেন টানে এখন আমায়!
আজব এই পৃথিবী
জন্মটাই যেন মিথ্যা হয়ে যায়;
মানুষের কাছে, ভালবাসার কাছে
ধর্মের কাছে, ঈশ্বরের কাছে;
কচু পাতার উপরে বৃষ্টির জল
কি মূল্য আছে তার?
তবুও তুমি এসেছ
জন্মেছ
জন্ম নিয়েছ এক জীবন নিয়ে;
ধরে রেখো সেটাই।
যদি পারো যেয়ো
দেখে এসো
আমার ঘর, একলা বাড়িটা
আমার নদী, খেয়া ঘাট
আমার হেলান পাল, সুনীল মাষ্টার
আমার জবা, জল, তাল গাছ!
যদি পারো যেয়ো
দেখে এসো তোমার আপনাকে
ভালবেসো আমার জন্মস্হান;
ধরে রেখো।
এ জনমে বোধ হয়
আমার আর প্রশন্নপুর যা্ওয়া হবে না!
ক্যানবেরা
২৯ জুলাই ২০১৬