বিশ্বাসের সাগরে নোঙ্গর গেড়েছে
অবিশ্বাসের প্রবাল ,
অপার সৌন্দর্যের আড়ালে লকলকে
রক্ত জিহ্বা ছদ্মবেশে শক্তি সঞ্চয়ে নিত্য
মাতে সমুদ্রের মৎস্য ভক্ষণে ।
বিশাল নীলিমায় ক্ষুধার্ত ক্ষুদে প্রবাল
চুষে নিয়ে সাগরের রক্ত
তিলে তিলে গড়ে তোলে সাম্রাজ্য ,
রুখতে সমুদ্রের শক্তি
গাঁথে পাথুরে দূর্গ ।
থামাতে ঢেউ, সাজায়
সারি সারি প্রবাল প্রাচীর ।
দেখিয়ে দেয় পৃথিবীর সব চেয়ে বড় ঘাতক
বিশ্বাস ঘাতকতার শক্তি।
জন্মেই জন্মদাতার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা ,
নিরবে মেনে নেয় জলধি ।
মহাকালের সন্ধ্যায় সব কিছুরই শেষ হয়,
বয়সের ভারে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রবাল
শেষ হয় বিশ্বাস ঘাতকতার
পড়ে থাকে মৃত ফসিল।
তবুও শেষ হয় না বারিনিধির বিশালতার ,
পড়ে থাকা বিশ্বাস ঘাতকের ফসিলেও চলে তার নিবিড় পরিচর্যা ।
কালের বিবর্তনে রত্নাকরের যত্নে
পড়ে থাকা ফসিল রূপ নেয় অমূল্য রত্নে ।