শীর্ণ শীর্ণ পুরোহিত একেলা মন্দিরে
জপে মালা সারাদিন মাঠে তেপান্তরে।
নিশিদিন সারাবেলা ধ্যানমগ্ন ঘরে
অন্তরের নিবেদন সঁপে প্রাণভরে।
একদা সহসা হেথা ভিখারিণী বেশে
সাজায়ে ফুলডালা মরমের হরষে।
ব্যথাক্ষত প্রাণ মোর কেহ নাহি আর
একেলা পড়িয়া থাকি বিচিত্র সংসার।
হাতে লয়ে ফুলদল ভক্ত কহে তারে
বেদনায় ফাটে প্রাণ লাখ কথা ভারে।
দেবতা আমার যেমন সেও তোমার
ঘুচুক ভেদচিহ্ন সব আছে যাহার।
আনন্দ উপাসনা সবই মোহময়
স্মৃতির লেহনে কেন অন্তিমের ভয়।
*********
প্রথম লাইনের প্রথম শব্দ ‘শীর্ণ’ – এর জায়গায় ‘জীর্ণ’ হবে। – লেখক.