বুকফাটা আর্তনাদ
-জিহাদ আমিন
কেন এই নীরবতা ভাঙ্গতে গেলে তুমি
ডেকে আনিলে নিজেই নিজের সর্বনাশ,
আজ আর নিজের মনের কোন আকাশ নেই
নেই কোন আপনজন,সবকিছুরই হয়েছে শেষ
বুকফাটা আর্তনাদে মাথা নত করে করজোড়ে কর চিৎকার।
এই মৃত্যু কোন সাধারণ মৃত্যু নয়
খুশি করতে ওরা নিজ শয়তানি প্রভুর আত্মা
লক্ষ প্রাণের ধমনী ধমিয়ে রাখতে,অন্তরে ধরাতে চায় ভয়,
রাক্ষুসীর বিষাক্ত ছোবলে সব যেন খাচ্ছে গিলে
প্রতিবাদী কণ্ঠকে রোধ করতে ধরে মারছে ভরে জেলে।
সামনে দাঁড়িয়ে দুঃসময়ে জাতির কান্ডারী
শক্ত হাতে এগিয়ে নিতে হবে তরী
কোথায় তুমি হে কান্ডারী?আর বেশি করিওনা দেরি
চোখ মেলে দেখো রক্ত মাখা সব লাশের সারি
নিজের জীবন সার্থক করে তবেই তারা পরপারে দিয়াছেন পাড়ি।
জাগো হে পবিত্র ঘুমন্ত প্রাণের আত্মা
জাগ্রত করো বহুকাল ধরে নুয়ে পড়া মানব সত্তা,
এই প্রাণ বিধাতা তব তোমায় করিয়াছেন দান
রাখো নিজ আত্মমর্যাদার সঠিক সম্মান
এসেছে সেই দিনক্ষণ সময়-করো নিজেকে সত্যের পথে বিসর্জন।
এমন বাঁধা সামনে আরো বহুবার হয়তো আসবে
দমন করতে চাইবে ওরা প্রতিবাদীদের
চালাবে নগ্ন গুলি ঝাঁজরা করতে পারে হাজারো বুক
ওরা জানে না বীরের বেশে মৃত্যুতে রয়েছে কতখানি সুখ
মৃত্যুকে আপন করে নিয়েও সুখের হাসি বিদায়ের বেলায়ও হাসবে।
আমি ভালো মানুষের মত করে মানুষ হতে চেয়েছি
বাঁচতে চেয়েছি এক বুক পৃথিবী সত্যকে বিলিয়ে দিয়ে,
আমার হবে সকাল,দুপুর,আমার হবে মুগ্ধ এক বিকেল
সাক্ষী হয়ে রইবে এমন ভালোবাসার উদারতায় কাল মহাকাল।।