আত্ম-অহংকার
-জিহাদ আমিন
দো-টানায় জীবন দেখিয়া কতজনাই’বা হয় মুগ্ধ
কেউ নিজেকে লইয়া নিজে করে যুদ্ধ,
হার জিত যেন এই জীবনের সংগ্রাম
সুনামের চেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে বদনাম
হয়তো এমন কোন কিছুই নামের সাথে বেমানান।
ছাড় দেওয়া,ছেড়ে দেওয়া পরিনত হয়েছে অভ্যাসে
মনের হিংসায়,খাই খাই স্বভাব রাক্ষুসে
ধ্বংস হোক বাকি সবাই,নিজে রই অতি সুখে
জীবিত প্রাণ যেন মৃত এমন দুঃখে
তুমি ছিলে সাহসী নির্ভীক সৎ হাত দিয়ে বলো বুকে!
ওরা বেঁচে থাকাটাকেই যেন জীবন বলে
কত জন্তু জানোয়ার হাজার হাজার বছর ধরে বাঁচে
কে তাহাদের পথ মাড়ায়?কে চেয়ে দেখে চোখ দিয়ে?
মান সম্মান ইজ্জত কারো কারো জন্য হাতের ময়লা
ওরা জানেনা শত ধুইলেও যে পরিস্কার হয়না কয়লা।
হারানোর যন্ত্রণা ওরা কি করে বুঝবে
বিদায় করতে পারলেই যেন বাঁচে পায় মুক্তি
যে প্রাণের আপন ছিল ঘিরে এই ভুবন সে তাহারেই খুঁজবে,
আর কোনদিনও বোঝা হতে আসবেনা ফিরে
ভয় নেই এবার মনের সুখে নিশ্চিন্তে চলো ধীরে!
জীবন ভুলে কি এমন সুখে হয়ে পড়িয়াছো আসক্ত
পবিত্র রক্ত আত্ম-অহংকারে করেছো বিষাক্ত
বুঝতে কি পারোনি কি ছিল মিথ্যা আর কি ছিল সত্য?
বলি-প্রাণের দাবি নিয়ে নিজেকে করো জাগ্রত
কলুষিত করেছো এ জগত সংসার ভুবন,করেছো নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত।।