শরতের সন্ধ্যায়
সাইকান
কোনো এক শরতের সন্ধ্যায়,
ঘুমন্ত শহরের বৃষ্টিস্নাত গলিতে
কোনো এক নিভে যাওয়া দ্বীপের অন্তরালে
কোনো এক অচেনা কন্ঠের
স্বপ্নচারিনী বলিয়া উঠিল,
ওগো শুনছো?
মুখ ফিরিয়ে খুঁজলাম তোমায়
তুমি যেনো মিশে গেলে এক অন্ধকারের ছায়ায়
জানো সেই সুধাময়ী সুর যেন,
আমার অতৃপ্ত যৌবন-ক্ষুধাকে ভেঙে দিল
মিটিয়ে দিলো আমার সব ভালবাসার উপোস।
খোঁজলাম তোমায় পুরনো সে শিমুল গাছের প্রাঙনে
দ্বীপ জ্বালিয়ে হাটলাম পুকুরের সেই সরু রাস্তায়,
পুরনো সেই ভাঙা প্রাচীরে
কিন্তু কোথাও না পেলাম না তোমার কোন রেখে যাওয়া স্মৃতি
সেই হারানো সুরের প্রতিক্ষায় নিজেকে হারিয়ে
আমি খোঁজেছি তোমায়।
তোমার সেই এক মুহূর্তের প্রেম যেন,
আমার মরে যাওয়া নদীতে জোয়ার এনেছে।
ইচ্ছে হচ্ছিল,
কোন এক শরতের পড়ন্ত বিকেলে বেলী ফুলের
খোপায় তুমি আমায় চমকে দিবে।
তুমি আমায় চমকে দিবে
কোন এক শীতের সকালে,
যখন একসাথে সূর্যাস্ত দেখবো,
মাঝরাতে একটি চাদর জড়িয়ে ঘুমন্ত শহরের
অলি গলিতে বের হবো ।
কোন এক ফাগুনের রাতে সমুদ্রে বসে
তোমাকে ঢেউয়ের গর্জন শুনাবো,
হয়তো ঘুমন্ত শহরটা আবার
নতুন করে প্রান পেত,
হয়তো মুক্ত একজোড়া শালিকের মতো
আমরা ঘুরে বেড়াবো ।
কোন এক হেমন্তের শেষ বিকেলে
তোমার ছবি আকবো ক্যানভাসে।
এখন
সবকিছু যেন মিশে গিয়েছে
কল্পনায়- অপূর্ণ স্বপ্নে
জানো,
এখনো তোমার অপেক্ষায় চেয়ে থাকি
গলির শেষ প্রান্তরে।
আবার হয়তো রাতের অন্ধকারে
ফিরে আসবে বলে তুমি।