এক নিস্তব্ধ শীতের রাতে,
একাকিত্বকে সঙ্গে করে
একলা নিঝুম পথে হেঁটে চলেছে
একটা মেয়ে।
অন্ধকারের বুক চিরে
হাজারো আশার সপ্ন নিয়ে
সে চলছে ,
এক চেনা গলির মধ্য দিয়ে।
বুকভরা সপ্ন, আর
মনভরা আশার সাথে
হেঁটে চলেছে বাড়ির পথে ,
আজ সে প্রথম মাইনে পেয়েছে।
বাড়িতে তার পুঙ্গ বাবা আর
ছোট্ট বোনের মুখ চেয়ে
সে বাড়তি কাজ করে বাড়ি ফেরে,
তাই আরকি এত দেরি।
তবে সেদিনের রাতটা ছিল
কিরকমই ছমছমে ,
মনে হচ্ছিল
পিছনে কে যেন অনুসরণ করছে।
তবু সে হেঁটে চলেছে আনমনে ,
উদ্দেশ্য একটাই
বাড়িতে যে তাকে যেতেই হবে
বাপ-বোনের কাছে ।
চলছিল বেশ ভালোই
হঠাৎ যেন কে !
হাতটা ধরে হেঁচকা টান
দিয়ে বাদ সাধল ।
কে তোমরা ?
আমার পথে বাধা দিচ্ছ কেন ?
উত্তর এল
তোমার “নাগর” ।
পিছন থেকে কে যেন ,
মুখ চেপে ,
টানতে টানতে নিয়ে গেল
পোড়া বাড়িটার দিকে ।
কিছুক্ষণ নিস্তব্ধতার পর
শোনা গেল
এক বিকট্ গোঙানি ,
তারপর সব শান্ত ।
আজ সে ধর্ষিতা ,
সমাজের চোখে
লাঞ্ছিত পতিতাদের
একজন ।
পরদিন অনেক
খোঁজা-খূজির পর
পাওয়া গেল এক
নির্জিব নিথর দেহ।
কিছুদিন এই নিয়ে চলল
বিশাল প্রতিবাদ ,
“কী , কেন , কীসের জন্য”
বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে ।
কিছুদিন শান্ত,
তারপর আবার সেই নিঝুম-নিস্তব্ধ রাত
ফিরে আসে ,
পুনরায় কাউকে হাতছানি দিয়ে
পিছু করে।।