অজয় নদীর জলধারা……. বয়ে চলে বারো মাস (অষ্টম পর্ব)
তথ্যসংগ্রহ, সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
জীবনের ঝুঁকি থেকে পেটের টানে অজয় নদী পারাপার। জামুড়িয়ার থানার অন্তর্গত দরবারডাঙ্গা, বীরকুলটি, সিদ্ধপুর অজয় নদীর ঘাটে। অজয় নদী বর্ষার জলে ফুলে উঠে। ফলে সারা বছর নদীতে বিশেষ কোন জল না থাকলেও বর্ষাকালে এই নদী ফুলে-ফেঁপে ওঠে।
ফলে জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির দ্বারা পরিচালিত অস্থায়ী রাস্তা জলের তোড়ে ভেসে যায়। পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার কয়েক হাজার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় এই নদী । এর ফলে কোথাও গলা ভর্তি জল, আবার কোথাও হাটুর নিচে জল ।
নদীর এই অসামঞ্জস্য গভীরতার জন্য ঠিকমত নৌকা চলে না । অথচ পেটের টানে বিপদ কে উপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ এই নদী পারাপার করতে বাধ্য হন । জীবনের ঝুঁকিতো রয়েছে তার সঙ্গে প্রতিদিন ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ।কিন্তু মানুষ নিরুপায় ।
বীরভূম জেলার মানুষদের অভিযোগ তারা প্রত্যন্ত গ্রামে থাকার জন্য বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি তাদের বাড়ি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূর। ফলে হাট বাজার থেকে স্কুল কলেজ এমনকি চিকিৎসা সবকিছুই তারা এই পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার রানীগঞ্জ দুর্গাপুর উপর নির্ভরশীল । তাই পেটের টানে তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়।
অজয় নদীর জলধারা…….বয়ে চলে বারো মাস
অজয় নদীর কবিতা-৮ (অষ্টম পর্ব)
কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অজয় নদীর ঘাটে
সূর্য বসেছে পাটে
পাখিসব ফিরিছে বাসায়।
অদূরে গ্রামের মাঝে,
সাঁঝের সানাই বাজে
কলরব সকলি মিলায়।
ওই পারে নদী বাঁধে,
শেয়ালেরা রাতে কাঁদে
শ্মশানেতে মৃতদেহ জ্বলে।
ছল ছল কল কল
বয়ে চলে অবিরল
ঢেউ তুলে অজয়ের জলে।
নিশুতি রাতের শেষে
ওঠে পূবে রবি হেসে
অজয়ের নদী কিনারায়।
নদীর ঘাটের কাছে
পাখি নাচে গাছেগাছে
প্রভাতপাখিরা গীত গায়।