নগর সভ্যতা
. – বলরাম সরকার
————————————-
অস্তগামী রবির করে –
নব পথ খানি খুজে ফিরে,
ক্ষুদ্র দানা খানি লয়ে ঠোটে
ফিরিলা পক্ষীমাতা , কুটির নিকটে।
বৃহত প্রান্তরে
হেথা হোথা খুজে ফিরে
ক্ষুদ্র শাবকের তরে
দানাখানি আনিয়াছে সে।
অস্টাদশী ইংরেজ নিশ্বাসে
উঠিয়াছিল যে তুফান প্রবল,
ওই প্রান্তরের ফসল সকল
তাহার তাপে, মরিয়াছে হায় !
রহিয়াছে পক্ষীকূল, অনাহারে তাই।
****************
কুটিরে ফিরিয়া মাত
দেখিলা, অবিরত –
শাবক তাহার কি রূপে
বসিয়া হতাশ চিতে!
হেরিয়া জননী আখি
ক্ষুদ্র শিশু পাখি
কহে, “মাত , বক্ষে ব্যাথা ভার
বাসাখানি বুঝি , রহিবে না আর্।
প্রাতে আসিয়া ছিল মনুষ্য একদল ;
শুনি কোলাহল –
হেরিনু আসিয়া বাহির
বৃক্ষপদে তাহারা করিয়াছে ভিড়।
নেতা কহিল ‘ কল্য প্রাতে ইহার
করিবে সং হার ‘।
মাত, মম ক্ষুদ্র কুটির ভাঙ্গি
বানাইবে তাহারা বিলাসের ইমারত খানি।
*****************
বাছার জবান শুনি
অসহায় মাতা দুহাতে টানি ,
বক্ষে ধরি জড়ি
আপন স্নেহ করি –
কহে, “বাছা মোরা
নহি তো সুখের পায়রা ।
রাজার প্রাসাদ , কিংবা বৃক্ষ শাখে
এ বিশ্ব ভুবন মাঝে
মোদের কোথাও নাহি ঠাই,
মানব নগর সভ্যতায়!!!