অজয় নদীর কবিতা
– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ঐ যে দূরে, আমার গাঁয়ের শেষে, ছোট নদী বয়,
কেউবা বলে অজয় নদী, কেউ অজয় নদ কয়।
অজয় নদীর দুধারেতে দেখি সরু বালির চর,
নীল আকাশে, বক উড়ে যায়, পাখায় করি ভর।
নদীর কাছে, বটের গাছে, উড়ে আসে কাক,
দূরে কোথায়, শুনতে পাই, শঙ্খচিলের ডাক।
অজয় নদীর ওপারে বীরভূমে কেন্দুবিল্ব গ্রাম,
কবি জয়দেবের জন্মভূমি ও পূণ্য তীর্থস্থান।
পৌষ মাসে, নদীর ঘাটে, বসে জয়দেবের মেলা,
নদীর জলে মকর স্নান, সেই ভোরের সকাল বেলা।
নদীর ধারে, পাহাড়ের গায়ে, সবুজ গাছের বন,
ভোরের বেলায় কোকিল ডাকে, ভরে ওঠে মন।
নদীর তীরে মেলা বসে, বাউল গানের আখড়া,
বাউলের উত্সবে মাতে, গাঁয়ের প্রতিটি পাড়া।