খুব ভোরে তুমি যখন এলে আমার ঘরে
এক গুচ্ছ রজনীগন্ধা হাতে , বুঝেছি তখন-
‘আমার যাবার সময় হয়েছে ! ‘
ভোরের সোনালী আলো ছড়িয়ে পড়লো
আমার ঘরের এখানে সখানে ,
চোখ খুলতেই দেখি তোমাকে, নতজানু হয়ে আছো,
চোখে মুখে শঙ্কা, চেয়ে আছো আমার মুখ পানে ।
তোমার ছোড়া গরম নিঃশ্বাসে আমি উষ্ণ হলাম,
তুমি বললে, ‘ভালো আছো ?’
আমি হাসলাম তোমার চোখে চোখ রেখে বললাম,
ভাল ,তুমি কেমন আছো ?
তুমি সোজা হলে, হাসলে না গম্ভীর হয়ে বললে,
‘কেন এমন করলে, কেন আমায় একা ফেলে
অসময়ে চলে যেতে চাও ?
তোমাকে কেমন কের বলি , হৃদয় আমার চলছে প্রলয়,
শরীরে বেঁধেছে বাসা মরনব্যাধী, কেমনে তোমাকে বলি ?
হাসতে চাইলাম পারলামনা ,
ডান হাতের কনুইয়ে ভর দিয়ে ওঠতে চাইলাম, পারলামনা
শরীরটা যেন অবশ হয়ে এলো,
শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে ওঠতে চাইলাম, পারলামনা ;
চিৎ হয়ে পড়ে রইলাম ,অস্ফুট উচ্চারনে শুধু বললাম ,
‘তুমি ভাল থেকো’