আমার আমাকে দেখব আজকে কী আছে চেনার বাঁকে??
যেথায় আমার স্বপ্ন শিশুরা ভেজায় ঘুমিয়ে থাকে।
চমকে না যাব!! দমকে দাঁড়াব!! কিছুনা এমন ভাবি,
আজকে খেয়ালি দেখব সতর জীবনের কাঠি চাবি।
কাঁদব হাসব চড়ব নিজের জীবন ডিঙির নায়ে,
দুহাত বলের কব্জির জোরে চলবে নদের বায়ে।
অথই নদীতে দমকা বাতাস উঠবে ভীষণ ঝর,
সেই বাতাসের ছুটবে তরির বুক কাঁপে থর থর।
দিনের দুপুর নামবে রাত্রি ঘনাক মেঘের কালে,
অদুর বনের চূরমার হবে গাছ পাতা যত ডালে।
দেখব চলেছে কতো ভেসে ছুটে শব্দ ভোঁভোঁরা চলে,
আধুনিক ছোঁয়া ইঞ্জিন চলা ছোটা মেশিনের কলে।
আমার ডিঙির পথটি চলবে অদুর গায়ের পাড়ি,,
ধীরে ধীরে পথ চলে ঠিকানায় পৌঁছব যেতার বাড়ি।
জীবন নদীর মাঝ স্রোতের তুমুল উঠবে ঝর,
যেমনি ঝরের কেড়ে নেবে যার বুকের বালুর চর।
আজকে আমার বাহির চেনব ভেতর চেনাব যশ,
জীবন খেয়ার পরতে পরতে জীবন নদীর তশ।।
কখনো হাসায়ে কখনো কাঁদায়ে নিজকে করল তাড়া,
কেউবা আবার পিছল খেয়েছে জীবন ভুলছে সাড়া।
উজান বাটির নদীর বুকের হলাম হতাশ ভাই,
এত করে ডাকি সেতা ভাইটিরে খুঁজিয়ে পেলাম নাই।
পালের তরির কালের দেবার চালিয়ে থামিয়ে টানি,
জীবন নদীর সুখের দীপটি অচিন চোখের ছানি।
ভিতুরা শুনেছে করে কানাকানি মোদের ডুবাবে ঢালা,
নয় ভয় ডর উচ্ছল দমে বাম ডান ভুলে চালা।
দক্ষিণ আকাশ ধরছে কালোর মেঘেরা জমল বুঝি,
সন্ধ্যা নামল আকাশ কাঁপল স্বল্প বাতির, পুঁজি।।
জীবন তরির নয়দুর বেশি সকালের সমদুর,,
এই পাড়ি যার ভীষণ কঠিন যাযাবর পরপর।
সহজ নচৎ বেহাল নচৎ জীবন চকের খরি,
আসবে সবার মিঠা তিতা স্বাদ জীবনের এই তরি।
হয়তো এমন হতে পারে নাত কঠিন বিষম যারি,
আকাশ টাকাশ আধুনিক ছোয়া পৌঁছে তবে যেতে পারি।,,
সহজ পথেকে পাইবের সেথা কঠিন পথকে মাপি,
সহজ না কিছু চাইতে পাইতে জীবন মাপিক ব্যপি।
অতি স্বস্তায় চললে নাগাল হয় লোক মুসাফির,
কিছু নাহি যার হল কবে তার জনকাতার অধীর।।
দেখব আয়না মুখের বায়না ছেড়ে দেব সব চাল,
আজকে ধরব মাঝির তরির পাড়ি যে দেবার পাল।।
যেতে হবে দুর জীবন সুদুর মোদের আনব তুলে,
গড়ব বাগান গাইবে পাখিরা ফোটাব ফলের ফুলে।
যুদ্ধ জীবন জয় করে যার খুলব একটি দোর,
দেহের সাথের মিলন ঘটবে মিটাবে তুচ্ছ ঘোর।
কার দেখে দুক ফুলে নাক মুখ কেউ হেসে যায় সুখে,
তিল খানি চোখ ঝরছে কি জল আজব জগত বুকে।
জীবনের লাগি জীবন শুনেছি সাধনা করেছে বিধে,
আগের জীবন মানুষ গুলোযে ছিল তারা সদা সিদে।
আশার আলোক বাঁধে বাসা যার যুক্ত পোক্ত কোল ,
জীবন তরির বিধান চড়নে প্রাক্তন শোরগোল।
জীবন তরির থাকেন না জ্ঞাতি পথকে চলার সাথী,
খমাকা তামাশা নিভ চালে হায় পথচলা তত বাতি।
বিপদ আসলে কে মাঝি মাল্লা দাঁড়কে টেনেছ গুন,
জীবন বাঁচাতে পারলে নিজকে বাপকা বেটায় শোন।
এইযে নদীর হায়রে কুলের কালের পালার নিশান,
খুঁজছে একটই গড়াছে ভাঙেছে চলে মিতব্যয়ী গান।
চলতে দেখতে বাইতে চাইতে —– দিন,
অবাধ চলনে মাঝির সাজির খেয়াল হয়েছে ক্ষীণ।
জীবন নদীর কুল ঠিকানার নাইরে সুবোধ তীর,
জীবনে নদীর জোয়ার ভাটার খেলায় চলছে ধীর।
জনম ভরিয়ে হেসে গেছে যেন কজন কাঁদেনি কেবা,
নিজের চাইতে তাহার যাঁহার দিয়েছ ভরিয়ে সেবা।
বলে একদিন অচিন চোখের নজরদার মুখে ছাপ,
মনের গোছানো অচিন মানুষ যায় হয়ে অনু তাপ।
এমন কত ভেবে চলতে ফিরতে বৈঠার ধরছি হাত,
জীবন নদীর খেয়ার পাড়ির চলেছে তরির পাত।
রাত গেল তব দিনের আলোক উঠছে বদ্ধ ছিরে,
মানুষ মানুষে কাঁধের জোয়ালে চলে যায় দুর ফিরে।
জীবন নদীর মাঝখান যার পাইনি এখনে কুল,
হতাশ মুখের ছবির মালায় বলছি তবে না ভুল।।
হয়তো বেশির দুর নয় আর পাব নাগালের চর,
সেখানে মোদের জীবনের ছায়া বটতলার কুল ঘর।
আমাদের কাল আমাদের চিরে দিনরাত ভর নিড়,
হাজার অতিত কান ইতিহাস কান করে করে বিড়।
কউর সতত চলে সর্বদ সহজের অতি দিন,
কারবা জীবন ভাসছিল দুঃখে বুক করা চিন চিন।
মাত্রাবৃত্ত মাত্রা