ধর্ষক
লীনা দাস
পূবে লালিমার স্পর্শ লেগেছে,
মনে হয়,আকাশের পায়ের পাতায়,
সদ্য কেউ আলতা লাগিয়েছে।
হাজার হাজার রশ্মি গায়ে মেখে,সুদৃশ্য আলোকমালায়
সুসজ্জিতা হবে প্রকৃতি।
কিন্তু রুস্তমদের দাদাগিরিআজ চরমসীমা অতিক্রান্ত
টেরিলিন টেরিকটে মোড়া রুস্তমরা ফিকে হয় না।
৭০ বছরের পৌঢ়া গণ ধর্ষিতা হন,
ভাবলি না,হতে পারত তোদের মা?
ভাবলি না!ওই যোনিপথ হতে পারত তোদের জন্মস্থান?
মা-দিদি-মাসি-পিসির কারোর মুখ মনে পড়েনি তোদের?
তোদের মেয়েদের কোনদিন খুবলে খাবেনা কোনো রুস্তম; ভাবলি কেমন করে?
কি পাস বলত?কি আছে নারী শরীরে?যোনি-স্তন?
তোদেরও আছে স্তন তোদের
ও আছে একটা কক।
যা খুশি করনা ও গুলো দিয়ে।
যত্তোসব বোকা—র দল।
তোদের ধ্বজতে পোকা হোক পচন ধরুক,তিলে তিলে মর
যন্ত্রণায়।
ফুলের মতো মেয়েদের কৌমার্য হরণ—
বৃদ্ধারাও বাদ নেই তোদের তালিকায়!
সাহস পাস কোথা থেকে?
ঠাকুরঘরের কন্ট্রোলরুম থেকে রেডিও কন্ট্রোল এ?
পৃথিবী আজ দুঃসহ যন্ত্রণার
একটা গাছ!
রুস্তমরা আগুনের ফল,সেঁকো বিষের শিকড় ঢুকেছে অনেক গভীরে,
মাটিতে আগুন,আকাশে আগুন,বাতাসে ড্রাগনের নিশ্বাস।
ড্রাগনের নিশ্বাসের আগুনের হলকাগুলো ছোটবড় ছেলে
মেয়েদের গ্রাস করছে!গ্রাস করছে বেঁচে থাকার স্বপ্ন!!
(বন্ধুরা ক্ষমা করবেন,ঘৃণা জোরাল করার জন্য কিছু স্পর্শকাতর কথা দিতে হল।)
((আমার মনে হয়,নীল ছবি অনেকাংশে দায়ী।))