অজয় নদীর বাঁকে
-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ের উত্তরেতে, দেখি অজয় নদীর ঘাটে,
রোজ দুপুরে পাড়ার ছেলেরা নদীতে সাঁতার কাটে।
কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূরা নাহিবারে যবে আসে,
শরতের নীল গগনে গগনে সাদা মেঘমালা ভাসে।
সোনা-ঝরা রোদ ঝরে গাঁয়ের অজয় নদীর চরে,
শালিকের ঝাঁক অজয়ের বাঁকে নিত্য খেলা করে।
কাশফুল ফোটে নদীর দুকূলে কলকল নদী বহে,
স্নান হলে সারা সকল বধূরা চলিছে আপন গৃহে।
বেলা আসে পড়ে অজয়ের ঘাটে ক্লান্ত দিনের শেষে,
সোনালী সূর্য ডুব দেয় দিগন্তের পাহাড়-চূড়া ঘেঁষে।
পাখিরা ফেরে আপন বাসায় নৌকা বাঁধা নদী চরে,
কাশের বনে নামিল আঁধার বলাকা উড়ে যায় দূরে।
নির্জন ঘাটে রাত্রি নামিল আকাশে তারারা ফোটে,
রাতি শেষ হয়ে ভোর হয়ে আসে নতুন সূর্য ওঠে।