শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে

শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে  (কবির 400 তম প্রয়াস)

– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

 

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,

শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

 

দুই চোখে তুলুসীর পাতা, কপালে চন্দন,

গলায় দেবে ফুলের মালা কাঁদবে প্রিয়জন।

শ্মশানে যাবে নিয়ে কাঁচা বাঁশের দোলায়,

মাটির দেহ মাটি হয়ে মাটিতে মিশে যায়।

 

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,

শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

 

সারা জীবন খেটে খেটে জমালি যে ধন,

সেই ধনে ভাগ বসাবে তোর আপনজন।

খালি হাতে আসে সবাই খালি হাতে যায়,

অশ্রুজলে সবাই তোমায় দেবে চিরবিদায়।

 

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,

শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

 

টাকাকে তুই আপন ভেবে চিনলি নারে মানুষ,

মানুষকে কাঁদিয়ে তুই টাকার নেশাতে বেহুঁশ।

মোহের ঘরে থাকিস শুয়ে তুই টাকার বিছানায়,

খালি হাতে যাবি সেদিন টাকা সাথে নাহি যায়।

 

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,

শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

 

টাকা দিয়ে মাটি কিনে বেড়াস হেসে খেলে,

নয়ন থাকতে দেখলি নারে দুটি নয়ন মেলে।

ভজলি না গুরুর চরণ রইলি সুখের আশায়।

লক্ষ্মণ বলে অন্তিম কালে পার করো আমায়।

 

মাটির দেহ শুয়ে থাকে মাটির বিছানায়,

শেষ বিছানা শ্মশান ঘাটে জ্বলন্ত চিতায়।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes