বিধাতা কেন পাষাণ হেন
– লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
বিধাতা কেন পাষাণ হেন দেখিতে না পায় চোখে,
কেহবা হাসে নব উল্লাসে কেহ কাঁদে দুঃখে শোকে।
হিংসায় গড়া এই বসুন্ধরা কাঁদে নাকো তাহার প্রাণ,
কেহ পাঁচতলায়, রাজভোগ খায় কেহবা ক্ষুধায় ম্লান।
বিধাতা কেন পাষাণ হেন শুনেও শুনে না শ্রবণে,
ক্ষুধায় কাতর বিশ্ব চরাচর স্মরি যন্ত্রণা পাই মনে।
নিজেদের ভুল প্রতি পলে পলে বুঝিতে কি পারে?
ভাইয়ের রক্তে কৃপাণ রাঙিয়ে মানুষেরে প্রাণে মারে।
কেহবা থাকে বহুতল ফ্ল্যাটে টাকার বিছানায় শুয়ে,
কেহ অনাহারে না খেয়ে মরে ছেঁড়া কাঁথাতে ভুঁয়ে।
মানুষে মানুষে হানাহানি আজ আসে না মানুষ পাশে,
বিপদে তাহার কাঁদে না আর, দাঁত বার করে হাসে।
মানুষ নিজের ভাগ্যের বিধাতা, বিধাতার খেলাঘরে।
এই বসুধায় বিধাতারে তাই বৃথা দোষারোপ করে।
আমার বিধাতা সবাকার ত্রাতা ভাগ্যের খাতা লেখে,
দুঃখের মাঝে কত রূপ সাজে সুখেরে লুকিয়ে রাখে।