গরিবের তাজমহল

খড়কুটারই ছোট্ট নীড়ে সুখ দুঃখের খেলা চলে,

দুঃখটাকেই আগলে ধরে সুখের পাখি ময়না বলে।

লোকায় থাকে চোক্ষুড়ালে দুঃখ পুরীর সেই গল্পটা,

রোদেপুড়া বৃষ্টিভেজা কালবৈশাখীর ঝাপটাটা।

দু -এক বেলা পান্তা ভাতে মরিচ পুড়া ভোজ ,

থাকতে হয় উপোস আবার তাও জুটে না রোজ।

বুক পাজরে কষ্ট চেপে যায় না কাউকে বলা,

হাজার রকম দুঃখ নিয়ে একলা পথ চলা।

একটু খানি সুখের আশায় সকাল বিকাল সাঁঝে,

স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ধরিত্রীর মাঝে।

কারাই বা জানতে চায় তাঁদের সেই কথা,

ছোট ছোট আনন্দ আর হাজার রকম ব‍্যাথা।

সেই রাজ্যের মানুষ গুলা সবার তরে হীন,

নানান রকম স্বপ্ন নিয়ে কেটে যায় দিন।

বৃষ্টি ভেজা ঝড়ের দিনে মাথায় দিয়ে হাত,

বেড়ার ফাঁকে জোৎসনা দেখে কেটে যায় রাত।

স্বপ্ন গুলা মনের মাঝে বিনা সূতায় বুনে,

দুঃখ টাকে মনে পোষে সুখের দামে কিনে।

হাজার কষ্টের মাঝে তাঁরা সুখটাকে খুজে নিয়ে,

সুখের মাঝে বসত করে দুঃখটাকে বলি দিয়ে।

সুখ দুঃখের মিলন মেলায় জীবন করে ছল্ ছল,

কবিতা, একেই বলি আমার ভাষায় গরিবের তাজমহল।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes