হৃদয়ের স্পন্দন আমার কবিতা

হৃদয়ের স্পন্দন আমার কবিতা

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

 

কবি হৃদয়ের স্পন্দন আজিকে, কবিতায় কথা বলে,

লেখনী আমার অশান্ত হয়ে লিখে প্রতি পলে পলে।

 

আমি যে দেখেছি কৃষকের ঘরে চড়েনিকো আজ হাঁড়ি,

খিদের জ্বালায় পেট পুড়ে যায় সহিতে কি আর পারি?

ধনী জমিদার, জোর করে তার, নিয়েছে ফসল কেটে,

ঘরে নাই চাল, পড়েছে আকাল, আগুন জ্বলিছে পেটে।

 

কবি হৃদয়ের স্পন্দন আজিকে, কবিতায় কথা বলে,

লেখনী আমার অশান্ত হয়ে লিখে রাখে পলে পলে।

 

আমি যে দেখেছি, কল-কারখানায় বন্ধ কলের চাকা,

টাকা দিয়ে যারা শ্রম কিনে নেয় ওদের পকেট ফাঁকা।

লকআউট তাই দিকে দিকে আজ শ্রমিক নিয়েছে ছুটি,

উপবাসে ওরা দিবস কাটায় জোটে নাকো পোড়া রুটি।

 

কবি হৃদয়ের স্পন্দন আজিকে কবিতায় কথা বলে,

লেখনী আমার অশান্ত হয়ে লিখে রাখে পলে পলে।

 

আমি যে দেখিনু, ক্ষুধাতুর শিশু, কাঁদিছে ধূলার পরে,

হয়েছে অসুখ মার মনে দুখ, চোখ আসে জলে ভরে।

দিকে দিকে কত অভুক্ত শিশুরা, ক্ষুধায় কাতর হয়ে,

খিদের জ্বালায় প্রাণে মারা যায় পারিনা থাকিতে সয়ে।

 

কবি হৃদয়ের স্পন্দন আজিকে কবিতায় কথা বলে,

লেখনী আমার অশান্ত হয়ে লিখে প্রতি পলে পলে।

 

দেশের নেতারা মাঠে ময়দানে রাজনীতির কথা বলে,

কালো টাকায় দেশ ছেয়ে যায় দেশ পাঠায় রসাতলে।

বল তো এসব কাদের তরে, কারা আছে এর মূলে?

দলের নেতা জাহির করে ওরা, জনতার কথা ভুলে।

 

কবি মনের বিক্ষোভ আজিকে কবিতায় কথা বলে,

লেখনী আমার অশান্ত হয়ে লিখে রাখে পলে পলে।

 

কবিতার পাতায় বিদ্রোহ আজ জাগো দেশের জনতা,

শাসকের বেশে শোষক সেজে ওরাই দেশের নেতা।

অশান্ত লেখনী বিদ্রোহী হয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলে,

বিক্ষুব্ধ কবিরে তবুও ভুল করে গাঁয়েরই কবি বলে।

 

কবি মনের বিদ্রোহ আজিকে, কবিতায় কথা বলে,

লেখনী আমার অশান্ত হয়ে লিখে প্রতি পলে পলে।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes