গাঁয়ের মাটিতে শীতল ছায়ায়
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের মাটিতে শীতল ছায়ায়
আমার মাটির ঘরে,
সুখের স্বর্গ হেথায় আসিয়া
সতত বিরাজ করে।
আম কাঁঠালের ছায়ায় ঘেরা
রাঙা মাটির ঐ পথে,
ময়না চড়ুই, ফিঙে বুলবুল
করে খেলা একসাথে।
রাঙা মাটির লাল সরাণের
বাঁকা গলি পথ দিয়ে,
গাঁয়ের বধূরা কলসী কাঁখে
আসে ঘরে জল নিয়ে।
পূবের আকাশে সোনার রবির
সোনা ঝরা রোদ ঝরে,
মাটিতে নিকানো উঠোন আমার
রোদে ঝলমল করে।
উঠোনের পাশে কূয়ো-তলায়
কাক বসে রোজ ডাকে,
চালতা গাছে হনুমান বসে
লেজ থাকে তার ঝুলে।
বাড়ির পাশে বেড়ার ধারে
ছাগল ও ভেড়া চরে,
গাছের শাখে পাখিরা ডাকে
পুলকে হৃদয় ভরে।
গ্রাম সীমানায় দূরে দেখা যায়
অজয় নদীর চর,
অজয়ের তীরে কোন এক গাঁয়ে
আমার আপন ঘর।