জোনাক জ্বলা এইনা নিঝুম রাতে,
তুমি আর আমি জাগিব এক সাথে ।
বলিব সব যাহাকিছু আছে এই মনে,
মধুচন্দ্রিমায় হারাইব আজ দুই জনে ।
সুন্দর মনোরম ও
মায়াবী আবেশে মন ভোলে বারেবারে,
চাঁদের রুপালী আলোর ঝিকিমিকি চারিধারে ।
কি জানি কোন গানের সুর
আকাশে বাতাসে ভাসিয়া আসে কানে ।
গান কাহার না ভাললাগে?
গান আমারও খুব প্রিয়, মন প্রাণ খুলিয়া
উজাড় করিয়া মাঝে মাঝে গান গাইতে খুব ইচ্ছা করে ।
কিন্তু আমিতো গায়ক নই,
আর আমার গান কেইবা শুনিবে;
কেহ শুনুক বা না শুনক তাতে কি?
হঠাৎ করিয়া একবার গাইলেই বা ক্ষতি কি?
কি অপূর্ব জোনাক জ্বলা রাত,
চাঁদনীটা নির্দ্বিধায় সারা পৃথিবীর আনাচে কানাচে
তাহার জোছনার আলো ছড়াইয়া দিয়াছে ।
কিন্তু হায় অভাগা পৃথিবীটা
আজ নি:শ্চিন্তে জোছনার চাদর গায়ে জড়াইয়া
গভীর ঘুমে অচেতন ।
নিশি জাগিয়া আছি বসিয়া শুধু দুইজন
পাশা পাশি তুমি আর আমি ।
একদিকে আমার ঘরের চাঁদ,
আরেক দিকে জোছনা ভরা রাত,
তাহার মাঝ খানে আমি ।
মনে হইতেছে আজ রাতে
আকাশে চাঁদের জোছনা ও
আমার ঘরের চাঁদের রুপের সাথে
একাকার হইয়া মিশিয়া গিয়াছে ।
সেই মধুচন্দ্রিমায় তাঁহাদের রুপের আলোতে
আমার সর্বাঙ্গ ভাসিয়া গিয়াছে,
আমি যেন সেই রুপালী জোছনায় অবগাহনে হইয়াছি ব্রত ।
এই মধুলগনে চাঁদনীর হৃদয় চুম্বি দৃষ্টিতে
আমি আবদ্ধ হইয়া নিজেকে হেলাইয়া দিতে যেন বদ্ধপরিকর ।
নিঝুম রাতে আজি চাঁদনীটা পাশে,
নিজেকে হারাই জোছনার নির্ঝাসে ।
মেঘের আড়ালে চাঁদনীর লুকোচুরি,
মনোমুগ্ধকর আবেশ যেন স্বর্গপুরী ।