খোয়াব
———— মৌসুমী জামান
অতিতের ঝাপি খুলে দেখো,
কি দেখতে পাও সেখানে?
জীবন্ত সত্তারা কি আাজও কুকড়ে বসে আছে?
আর কত রক্ত – আর কত হানা,
দানাবাঁধা ভ্গ্নস্তুুপের উপর দাড়িয়ে থাকবে কি এখনো বিবেক?
কে দেখোনি, শোননি—
জাতি কিভাবে গরজে উঠেছিল
একটি পতাকার জন্য।
সাদা পথ রক্তে লাল হয়েছিল
সবুজ তার বরন হারিয়েছিল
তোমরা কে জানোনা,
মায়ের কোলের শিশু কেনো যুদ্ধে গেলো?
অতিত কেনো আজ ক্ষুদ্ধ হলো?
ভীরু, কাপুরুষ আমরা
রক্তের ঢেউকে ভয় পায়।
কত -শত বুকের হাহাকার মিলে মিছিল হয়েছিলো
গোলাপ তার সমস্ত রং বিলিয়ে দিয়োছিলো শুধু একটি পবিত্র শাপলা ফোটানোর জন্য
আজ সে শাপলার বুকে কন্ঠকের চাষ হয়।
আর কোন কান্ডারী জনতাকে বলবে সেদিন মুক্তির জন্য যুদ্ধ হয়েছিল নাকি চিরতরে যুদ্ধের মুক্তি হয়েছিলো।
ত্রিশ হাজার রমনীর ইজ্জতকে যারা বুটজুতোয় থেতলে দিয়েছিল
আজ তারা কি আমাদের সহদয় হয়ে ফিরে এসেছে।
কে দেবে তার উত্তর?
তীক্ষ্ণ যে স্বাধীনতা, যে অগ্নিবহ প্রজ্জ্বলিত কাপাঁ স্লোগান দেওয়া আন্দোলিত মিছিল
তা কি এক মৌন অন্ধকারেই ঢেকে যাবে চিরদিনের জন্য!
বঙ্গবন্ধু’র তন্দুবুনা জায়নামাযে বসে কে দেখাবে শিউলী সুবাসিত খোয়াব?
- একদিন শহিদদের আত্মার খোশবুতে ভরে গেছে বাংলাদেশের সবুজ আস্তরন!