গাঁয়ের অজয় নদী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের অজয় নদী হয়ে ছন্দ হারা,
অবিরত বয়ে চলে অজয়ের ধারা।
দুইপারে ধানখেত চাষী কাটে ধান,
গাছেগাছে পাখি সব করে কলতান।
শঙ্খ-চিল উড়ে চলে আকাশের গায়।
খেয়াঘাটে এসে মাঝি রোজ খেয়া বায়।
সকালে, বিকালে কভু সাঁঝের বেলায়,
তরীখানি বেঁধে কূলে নিজ ঘরে যায়।
নদীকূলে বাম পাশে শ্মশানের ঘাট,
আছে পড়ে জীর্ণবস্ত্র আর পোড়াকাঠ।
শ্মশান-কালীর এক আছে দেবালয়,
প্রতি অমাবস্যারাতে সেথা হোম হয়।
আপন বেগেতে নদী হয়ে ছন্দহারা,
দিনরাত বয়ে চলে পাগলের পারা।