দেবী আবাহন স্তুতিপাঠ
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ঔঁ করাল বদনা ঘোরাং মুক্তকেশী চতুর্ভূজাম্।
কালিকা দক্ষিণা দিব্যাং মুণ্ডমালা বিভূষিতাং।।
কার্ত্তিকের কৃষ্ণ পক্ষ অমাবস্যা
পূণ্য তিথির পূণ্য শুভক্ষণে-
অমানিশার ঘনান্ধকারে
কালরাত্রি দেবী কালিকার আবাহন।
দিকে দিকে নিনাদিত হয়
শংখ, কাঁসর ঘণ্টা,
বেজে ওঠে ঢাক ঢোল।
মা আসছেন। দিন আগত।
দেবী চামুণ্ডা নৃমুণ্ডমালিনী
দেবি কালী করালবদনী
কূল কুণ্ডলিনী কপালিনী
দেবীমায়ের পদধ্বনি!
আকাশে বাতাসে শিহরণ।
বিশ্ববাসী তাই গেয়ে ওঠে—
কোথা তুমি শঙ্খ চক্র গদা
খড়্গ মহাস্ত্রধারিণী
তারা তারকব্রহ্মময়ী মা।
ত্রিশূলধারিণী কালী কপালিনী
মা ছিন্নমস্তা,
তুমি ওঠো তুমি জাগো।
তুমি নেমে এসে এ ধরার বুকে পুনর্বার।
বাজাও তোমার প্রণববিষাণ মহা হুংকারে,
মিলে যাক, মিশে যাক
অনাচার অবিচার।
অধর্মের আছে যত ব্যভিচার।
সৃষ্টি হোক নতুন এক ধর্ম,
নতুন এক যুগ, নতুন এক শক্তি।
ঔঁ শান্তিঃ! শান্তিঃ ! শান্তিঃ!
ঔ আপদং শান্তি!
যত্র এবাগত পাপং তত্রৈব প্রতিগচ্ছতু।
ঔঁ শান্তিঃ! শান্তিঃ ! শান্তিঃ!