মাতৃস্তুতি (মায়ের আগমনী স্তোত্রপাঠ)

মাতৃস্তুতি (মায়ের আগমনী স্তোত্রপাঠ)

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

 

আশ্বিনের শারদ প্রভাতে,

দিকে দিকে নিনাদিত হয় মহাশঙ্খ;

বেজে ওঠে জয়ঢাক, কাঁসর ঘণ্টা,

দিকে দিগন্তে আগমনীর সুর

ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

শারদ-আকাশে প্রত্যুষেই

সোনার রবি উঁকি দেয়।

সোনালী রোদ ঝরে পড়ে

নীল আকাশের আঙিনায়।

মা আসছেন! দেবী দশভূজা,

আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবী দূর্গা।

তাঁর আগমনে ধরণী হয়ে ওঠে

প্রাণময়ী, আনন্দোচ্ছল।

শারদীয়া দুর্গাপূজা জাতীয়

জীবনে সর্বাঙ্গীন। তাই বাংলার

ঘরে ঘরে শুদ্ধচিত্তে করা হয়

মায়ের আবাহন। সাজানো হয়

আম্রপল্লব সহযোগে মঙ্গলঘট।

ধান্যদূর্বা সহ পাতা সেই মঙ্গল ঘট।

বেজে ওঠে শঙ্খ।

মেয়েরা করে উলুধ্বনি।

দিকে দিকে শুরু হয়

মাতৃশক্তির আরাধনা।

 

ত্বং স্বাহা, ত্বং স্বধা, ত্বং হি বষটকার স্মরাত্মিকা!

স্বধা ত্বমক্ষরে দেবী ত্রিধা মাত্রাতিকাস্থিতা।

 

অর্ধমাত্রাস্থিতা নিত্যা যানুচর্যা বিশেষতঃ

ত্বমেব সন্ধ্যা সাবিত্রী ত্বং দেবী জননী পরাঃ।

সর্বভূতা যদা দেবী স্বর্গমুক্তি প্রদায়িনী।

ত্বং স্তুতি স্তুতয়ে কা বা ভবন্তি পরমোক্তয়।।

 

সর্বস্য বুদ্ধি রূপেন জনস্য হৃদি সংস্থিতি,

স্বর্গাপবর্গদে দেবী নারায়নী নমোহস্তুতে।।

 

যা দেবি সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।

নমস্তসৈঃ নমস্তস্যৈঃ নমস্তস্যৈ নমোনমঃ।।

 

যা দেবি সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা।

নমস্তসৈঃ নমস্তস্যৈঃ নমস্তস্যৈ নমোনমঃ।।

 

যা দেবি সর্বভূতেষু লক্ষ্মীরূপেণ সংস্থিতা।

নমস্তসৈঃ নমস্তস্যৈঃ নমস্তস্যৈ নমোনমঃ।।

.. .. ..

ঔঁ দ্বৌ শান্তিঃ, অন্তরীক্ষ্যং শান্তিঃ,

পৃথিবীং শান্তিঃ। শান্তিঃরোষধয়,

শান্তিঃ বনস্পতয়,

শান্তিঃ শান্তিরেব।

শান্তিঃ সামা শান্তিঃ রেধি।

ঔঁ আপদং শান্তিঃ

যত্র এবাগত পাপং তত্রৈব প্রতিগচ্ছতু।

ঔঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes