মেঘনা নদীর পাড়ে
লেখাঃ অনিক শিকদার
গোধূলি যখন,
পূব আকাশে প্রতিবিম্ব।
মেঘনা মা’য়ের কালো মেয়ে যখন,
কেশ গুচ্ছবিন্যাস রক্তাক্ত করিল।
আমি আর তমালিকা,
উলঙ্গ পায়ে নরম বালির বুকে
প্রেমের সহস্রাধিক সাক্ষী আঁকা হল।
সাদা মেঘেরঘটা মাথার উপর ভাসে,
হংসমিথুন পাড়ে ভিড়ে আসে,
মেঘনা মা’য়ের কালো মেয়ে
কেশের জালে পেঁচিয়ে ধরে,
তোমার গতিরোধ করে,
আমি হারিয়ে যায় নদীগর্ভে,
তুমি পড়ে থাকো শূন্য পাড়ে।
থেকে যায় ভালোবাসা,
ফুরিয়ে যায় হাজার আশা,
সাদা বক, বনু হাস, হারায় বাসা।
ব্যথিত বুকেপিঠে,
দু’জন দুই পথে,
তবুও পাড়ে ভিড়ার মত্ত চিত্তে,
বুক ভাসায় অরুণ জলে।
হয়তোবা স্রোতের টানে,
তটিনীর আদি নিয়মে,
তোমাকেও ঘ্রাস করবে
পাড়ে থাকা বালির সাথে।
হয়ে যাবে নতুন কোন বসত।
শূন্যতায় পরিপূর্ণ কোন এক
শ্বেতাভ নয়া মেঘনা চরে।
চিনিব দু’জন দু’জনারে
আদম-হাওয়া’র অনুতাপ সুরে।
নতুন পৃথিবীর নতুন চরে,
শত-সহস্র কণ্টকী কাল পরে।
তখন কি চিনবে আমারে?
জিজ্ঞাসু নয়নজল ছেড়ে
বলিবে, কেন এলে এতদিন পরে?
১৫ই ভাদ্র ১৪২৪
নারায়ণগঞ্জ।