দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে পড়ে আসে বেলা,
ঘোষ পাড়ার সবুজ মাঠে চলে হা-ডু-ডু খেলা।
কেহবা খেলে কানামাছি গাঁয়ের সবুজ ডাঙায়,
কেহবা খেলে চু-কিত-কিত রাঙাপথের ধুলায়।
রাঙা-মেঘ ভেসে বেড়ায় সুনীল আকাশের গায়,
মাঠের পারে দিগন্তের শেষে অরুণ-সূর্য লুকায়।
গরুর পাল নিয়ে রাখালভাই ফেরে আপন বাড়ি,
মাঠের থেকে চাষীর দল আসে ঘরে তাড়াতাড়ি।
জ্বলে উঠে দীপ সাঁঝের বেলা মন্দিরে ঘন্টা বাজে,
ঢাকের শব্দে মেতে ওঠে পাড়া নিত্য সকালসাঁঝে।
সাঁঝ-আকাশে তারা ফোটে চাঁদের আলোক ঝরে,
জোছনার রাশি খেলা করে শুধু অজয়ের বালুচরে।
নির্জনঘাটে রাত্রি নামে নদী আপনবেগে বয়ে চলে,
ফুলের বনে কলিরা ফোটে রাত কেটে ভোর হলে।