আমার গাঁয়ে মাটির ঘর

আমার গাঁয়ে মাটির ঘর

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

 

মাটির পাঁচিল ঘেরা ছোট ঘর গাঁয়ে,

সবুজ ধানের খেত রাঙা পথ বাঁয়ে।

তাল সুপারির গাছ নারিকেল আর,

খেজুরের গাছ আছে গাঁয়ে চারিধার।

 

গগনে উঠিল রবি সোনার বরণ,

নিজ পাঠে দেয় মন যত শিশুগণ।

দিঘিতে মরাল ভাসে পানকৌড়ি আসে,

ব্যাঙেরা লাফায় এসে উঠোনের ঘাসে।

 

কোকিলের কুহুতান দোলা দেয় মনে,

উড়ে যায় শঙ্খ-চিল সুনীল গগনে।

সবুজ ডাঙায় বসে বন-টিয়া এসে,

রাখাল বাজায় বাঁশি আসে সুর ভেসে।

 

আম বাগানেতে এসে বালক সকল,

ঢিল মেরে আম পাড়ে করে কোলাহল।

সকালে বিকালে কভু দুপুর বেলায়,

থলি ভরে আম পেড়ে গৃহপানে ধায়।

 

বেলা যেই আসে পড়ে বধূরা সকলে,

কাঁখেতে কলসী লয়ে রাঙাপথে চলে।

জল নিয়ে ঘরে ফেরে গাঁয়ের বধূরা,

রবি যায় অস্তাচলে দিন হলে সারা।

 

জ্বলে দীপ সন্ধ্যা আসে আঁধার ঘনায়,

দুর গাঁয়ে বেজে ওঠে সাঁঝের সানাই।

আকাশের তারাগুলি মিটিমিটি জ্বলে,

জোছনা ছড়ায় চাঁদ আপন খেয়ালে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes