মাটিরঘরে বসতি আমার

মাটিরঘরে বসতি আমার

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

 

মাটিরঘরে বসতি আমার

থাকি আমি ছোট গাঁয়ে,

সামনে দিয়ে বইছে নদী

রাঙামাটির পথের বাঁয়ে।

 

আমার গাঁয়ে তরুর ছায়ে

পান্থ বাজায় বাঁশের বাঁশি,

প্রভাতবেলা রবির কিরণে

কুসুম ফোটে রাশি রাশি।

 

গাছের ডালে পাখিরা ডাকে

শুনি আমি তা কান পেতে,

বনের টিয়া এসে শিস দেয়

পথের দুধারে ধান খেতে।

 

নদীর ঘাটের কাছে দেখি

আছে বিশাল এক বটগাছ,

নদীর চরে সাদা বক বসে

ধরে খায় ছোট পুঁটি মাছ।

 

বেলা দশটায় ছেলেরা যখন

গাঁয়ের পথে ইস্কুলেতে যায়,

একতারা হতে পথের বাউল

মিঠে সুরে বাউল গান গায়।

 

বেলা বারোটা বাজে যখন

রেলগাড়ি আসে ইস্টিশানে,

বোঝা মাথায় যাত্রীরা সবে

ছোটে তারা গাঁয়ের পানে।

 

পুকুর ঘাটে পাড়ার ছেলেরা

তেলমেখে রোজ স্নান করে,

সুতো দিয়ে বোনা জাল দিয়ে

জেলেরা প্রতিদিন মাছ ধরে।

 

আমার গাঁয়ে সাঁঝের বেলায়

মন্দিরেতে কাঁসর ঘন্টা বাজে,

প্রদীপ জ্বালায় গাঁয়ের নব-বধূ

তুলসীতলায় আঙিনার মাঝে।

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes