শান্তাবুড়ি ও মিনিবেড়াল
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের মাঝখানে শান্তাবুড়ি খুলেছে চপের দোকান,
ধারে কিছু যাবে না তো কেনা দিতে হবে নগদদাম।
শান্তাবুড়ির দোকানে পাবে ছোলার ঘুগনি আর মুড়ি,
চা, পান ও তেলে ভাজার সাথে পাবে খাস্তা কচুরি।
আপন বলে কেউ নাই তার আছে শুধু একটি বেড়াল,
দোকানের পাশে ঘোরাঘুরি করে খেলে সকালবিকাল।
দুপুর বেলায় শান্তাবুড়ি রোজ যখন ভাত খেতে বসে,
বেড়ালটি তখন দৌড়ে এসে, বসে তারই কাছ ঘেঁষে।
বেচাকেনা সেরে সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপখানি জ্বেলে,
করতাল বাজিয়ে শান্তাবুড়ি জয় রাধে রাধে বলে।
তুলসীতলায় বসে যখন শান্তাবুড়ি রাধানাম স্মরে,
মিনি বেড়াল তখন এসে বসে থাকে চুপটি করে।
রাতের আকাশে তারা ওঠে চাঁদের আলোক ঝরে,
সকালে উঠিয়া শান্তাবুড়ি জপে হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে।