নতুন প্রভাতের পরে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ গাঁয়ের সবুজ তরুর ছায়ায় রাখাল বাজায় বাঁশি,
বাঁশের বাঁশির রাখালিয়া সুর মরমে পশিল আসি।
বাঁশবাগানের সরু গলিপথে শুনি পাখিদের কলরব.
কলসী কাঁখে জল নিতে আসে গাঁয়ের বধূরা সব।
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায় ছোট শিশুরা বসে খেলে,
সুনীল আকাশে বক উড়ে যায় সাদা দুটি পাখা মেলে।
তালদিঘির কালো ঘোলা জলে রাজহাঁসের দল ভাসে,
বিশাল সবুজ ধানের খেত দেখি এ গাঁয়ের চারপাশে।
গ্রাম সীমানায় অজয় নদীঘাটে গাঁয়ের মাঝি খেয়া বায়,
এপার ওপার দুইপারে গাঁ মাঝে অজয় নদী বয়ে যায়।
দিনের শেষে পড়ে আসে বেলা অজয় নদীর কিনারায়
সাঁঝের আঁধার নেমে আসে বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।
চাঁদের আলো পড়ে ঝরে ছোট ছোট মাটির কুঁড়েঘরে,
সহস্র তারকা মুখ লুকায় হেথা নতুন প্রভাতের পরে।