গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায়
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায়
রাখাল বাজায় বাঁশি,
নীল আকাশে সাদা মেঘেরা
ভাসছে রাশি রাশি।
শালুক হীড়ের মেঠো জমিতে
চাষীরা করে চাষ,
তরুর শাখায় বাসা বেঁধে
পাখিরা করে বাস।
গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
বারোমাস চলে বয়ে,
নৌকা চালায় কানু মাঝি ভাই
ভাটিয়ালি গান গেয়ে।
দূর আকাশে পাহাড় চুড়োয়
সোনালি সূর্য উঠে,
ফুলের বাগানে সৌরভ ছোটে
ফুলকলি যবে ফুটে।
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায়
ছোট শিশুরা খেলে,
বীর হনুমান ছুটে বেড়ায়
গাছের ডালে ডালে।
গাঁয়ের শেষে পথের বাঁকে
শালিক পাখির ঝাঁক,
বাড়ির উঠোনে ভাঙা পাঁচিলে
বসে থাকে এক কাক।
গাঁয়ের শীতল তরুর ছায়ায়
পান্থ করে বিশ্রাম,
গাঁয়ের শীতল ছায়ায় ঘেরা
ছোট আমার গ্রাম।