আমার গাঁয়ে রাঙামাটির পথে
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ে রাঙা মাটির পথে
সকাল হতেই রাঙা ধূলো ওড়ে,
গাঁয়ের কুমোর কাদা মাটি দিয়ে
রোজ সকালে মাটির হাঁড়ি গড়ে।
আমার গাঁয়ের কামারেরা সবাই
কাজ করে বসে কামার শালায়,
সাঁড়াশিতে ধরে তপ্ত লোহাতে
সারাদিন জোরে হাতুড়ি চালায়।
আমার গাঁয়ে রোজ সকাল হলে
মাঠে চলে এই গাঁয়ের চাষীভাই,
সারাদিন ধান কাটে মাঠে মাঠে,
বাড়ি ফেরে সে সাঁঝের বেলায়।
আমার গাঁয়ের তাঁতিভাই সকালে
তাঁত চালায় সে বোনে ধূতি শাড়ি,
গাঁয়ের নাপিতভাই আপন সেলুনে
রোজ কাটে সবার চুল আর দাঁড়ি।
ছুতোর মিস্ত্রি কাঠের কাজ করে
জেলেরা রোজ পুকুরে মাছ ধরে,
গোয়ালা রোজই দুধ বিক্রি করে
সকলেই থাকে কাঁচা মাটির ঘরে।
গাঁয়ের মালী গাঁথে ফুলের মালা
কাঠুরিয়ারা বনে বনে কাঠ কাটে,
গাঁয়ের মাঝি নৌকা চালায় রোজ
দিন কাটে তার অজয়নদীর ঘাটে।
গাঁয়ের মানুষ সবাই আমার আপন
মিলেমিশে হেথা সবাই করি বাস,
ঝগড়া ঝাঁটি নাইকো কারো সাথে
নাই দুঃখ, সুখে থাকি বারো মাস।