বয়ে চলে অজয় নদীর ধারা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
গাঁয়ের মাটিতে ফলে সোনাধান
গাহে পাখিরা গাছে গাছে,
নদীর বালুচরে আছে নৌকা বাঁধা
অজয় নদীর ঘাটের কাছে।
শঙ্খচিল ওড়ে নীল আকাশে
সাদাবক ওড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে,
সোনালী রোদ ঝরে পড়ে জলে
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে।
পথের বাঁকে লাল ধূলো ওড়ে
সোনার ফসল ফলে মাঠে,
ধোপারা কাচে কাপড়চোপড় ধূতি
সোনাইদিঘির বাঁধানো ঘাটে।
বাড়ির আঙিনায় ময়না চড়ুই
ওরা খেলা করে একসাথে,
মেজোবউ বসে বাসন মাজে
ঐ কুয়োতলায় আঙিনাতে।
বড়োবউ সেজোবউ দুজনে মিলে
রান্না করে বসে রান্নাঘরে,
পিঁড়িতে বসে শাশুড়ী মা তাদের
মেয়ে দুটিকে আদর করে।
সূর্যি ডোবে, সাঁঝের আঁধার নামে
আকাশে ওঠে চাঁদ ও তারা,
জোছনায় নদীজল ঝিকিমিকি করে
বয়ে চলে অজয় নদীর ধারা।