আমার গাঁয়ে আঁকা বাঁকা পথে

­­­­­আমার গাঁয়ে আঁকা বাঁকা পথে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

 

আমার গাঁয়ে আঁকা বাঁকা পথে,

গাঁয়ের বধূরা আসে জল নিতে।

কলসী কাঁখে আলতা পরা পায়ে,

রাঙাপাড় কাঁচা হলুদ শাড়ী গায়ে।

 

আমার গাঁয়ে রাঙা মাটির পথে,

দুধার ভরা সবুজ ধানের খেতে।

সোনা রোদ হাসে মেঘের কোলে,

শালুক পদ্ম ফোটে দিঘির জলে।

 

আমার গাঁয়ের সরু গলি পথে,

মুরগীগুলো ধান খায় খুঁটে খুঁটে।

শালিক বসে বাঁশগাছের ঝাড়ে,

কুকুরগুলো হাঁকে পুকুরপাড়ে।

 

আমার গাঁয়ে রাঙা রাস্তার ধারে,

শঙ্খচিল ডাকে আকাশের পারে।

সাড়ে আটটায় আসে রেলগাড়ি,

চলে যায় দূরে গ্রামসীমানা ছাড়ি।

 

আমার গাঁয়ের চৌমাথার মোড়ে,

বাস থামে যাত্রীরা আসে দৌড়ে।

সেথা আছে দীনুর চায়ের দোকান,

সকলেই চা খায়, পরে খায় পান।

 

আমার গাঁয়ে সরু আঁকাবাঁকা পথে,

আনাগোনা শুরু হয় সকাল হতে,

সকাল বিকাল চলে গোরুর গাড়ি,

দূরে আকাশে বক ওড়ে সারি সারি।

 

সাঁঝের আঁধার নামে গাঁয়ের পথে,

ধূপ দীপ জ্বলে, শাঁখ বেজে ওঠে।

আকাশে চাঁদ উঠে, তারারা ফোটে,

জোছনা ঝরে সুনীল আকাশ হতে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes