সকাল ৭টা।
ডাক্তারবাবু বাড়ী আছেন? – এক –দুই—তিনবার-
কাগজওয়ালা,দুধওয়ালা,গ্যাসওয়ালা,
দিনের শুরু-ফের কলিংবেলের মিষ্টি সুর-
কাকে চায়? ডাক্তারবাবুর সহায়কের কৌতুহল!
ডাক্তারবাবু আছেন? বাচ্চাটার জ্বর। একটু দেখাতাম।
জ্বর কতদিন?
তিন-চার দিন হবে । দেখিয়েছিলাম।
এখন বেড়েছে। বড্ড কষ্ট পাচ্ছে । ডাক্তারবাবুকে —
ডাক্তারবাবু একটু ঘুমোচ্ছেন। কাল সারারাত ধকল গেছে ।
রাত ১টা – ২টা –৩টা রোগীর বাড়াবাড়ি —
কালকেই তো হয়েছে । সবদিন এমন তো হয় না ।
প্রায় প্রতিদিনই —
তো কি। বাচ্চাটা কষ্ট পাচ্ছে ,দেখে দিতে বলুন–
সময়মত একটু নজর দিলে তো আর বাড়াবাড়ি হয় না।
জ্ঞান দিতে হবে না । ডাক্তারবাবুকে ডাকুন।
কথায় কথা বাড়ে। এটা -ওটা–সেটা —
চীৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায় ডাক্তারবাবুর ।
বেরিয়ে এসে বাচ্চাটাকে পরীক্ষা করে,
সত্যিই বাড়াবাড়ি হয়েছে । ভর্ত্তির দরকার ।
প্রয়োজনীয় নির্দেশ লিখে দিয়ে ভর্ত্তির সুপারিশ।
বাচ্চার বাড়ীর লোকের চীৎকার —
তো এখানে এলাম কেন! ভর্ত্তি করব না। ওষুধ লিখে দিন ।
ঝামেলা এড়াতে ডাক্তারবাবুর প্রেস্ক্রিপশান–
উত্তেজনার সাময়িক প্রশমন।
চার- পাঁচ ঘন্টা পর তাদের পুনরাগমন–
কোলে মৃতপ্রায় শিশু ।
আপনার চিকিৎসায় বাচ্চার এই অবস্থা-বিহিত চাই।
কি করতে হবে!
ক্ষতিপূরণ আর নার্সিংহোমের সমস্ত খরচ।
ডাক্তারবাবুর বিস্ময়! এ কোন তালিবানি ফরমান!
আমাদের এখানে থাকতে হলে এসব মানতে হবে ।
মানে! আমিও তো এখানকার ।
এখানটা তো আমারো । ডাক্তারবাবুর প্রতিক্রিয়া।
এ-র-প-র ———
———