জীবন যন্ত্রনাময় —
বাস্তব এ কঠোর সত্যকে মেনে নিয়ে
মেকি সভ্যতা আর নির্লজ্জ সততাকে
বিসর্জন দিয়ে – শুধুই এগিয়ে যাওয়া,
থাক না পিছনে পড়ে যতকিছু
অন্ধ কুসংস্কার আর হঠকারী জঞ্জাল।
টের পেয়েছি আমি সেদিনই
যেদিন জামাপ্যান্ট পাল্টে মাতৃরুপে
পদচিহ্ন এঁকে দিলে আমাদের সুখের সংসারে ।
অনুকরণীয় ভালোবাসাকে বিসর্জন না দিয়ে –
নিবদ্ধ সকলের দৃষ্টি মাথার উপর লম্বা সিঁথিতে
ধন্য হলে আর ধন্য করলে সকলকে,
যেন বিনামেঘে বারি বরিষণ।
তুমি পারবে – একমাত্র তুমিই পারবে
সুস্থ ভালোবাসার অন্তর্নিহিত মহিমাকে
আধুনিক রঙে রাঙিয়ে দিতে।
প্রস্তুত থেকো মোকাবিলায় নিন্দুকের দলকে –
যারা কিনা ভোলাতে চায় তোমাকে,
সুখের পায়রার ডানা ঝাপটে
মায়াকান্নায় তোমার চোখে চায় আমার সর্বনাশ ।
ভালোবাসার মৃত্যু নেই – হতে পারে না,
বিচ্ছেদের সোহাগ! সেও তো অস্তমিত।
শত প্রলোভন, ভয় ভীতি, নির্যাতনকে পাশ কাটিয়ে
তুমি আমি অন্তত তাই চেয়েছি,
পেয়েছি খুঁজে সে ভালোবাসাকে, আঁকড়ে ধরতে চাই।
কথা দাও – কথা দিলাম আমিও ।
চলো না যাই জীবনের সৈকতে
শুঁষে নিতে দিগন্ত বিস্তৃত আশ্বাস,
পুরানো যত সব ব্যথা বেদনা
ফেলে রেখে খুঁজি নবযৌবনের প্রয়াস ।
বাজি? ধরতেও আমরা আজ রাজি
দেখাব সকলকে, জানবে ভালোবাসা নয় নশ্বর
সুদূরপ্রসারী তার প্রভাব, কি তার পরিসর।
——-