মায়ের আগমনী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
এ শারদ প্রাতে
আজি প্রভাতে
মায়ের বন্দনা গান গাই,
মায়ের আশীষে
আজি প্রত্যুষে
কবিতা লিখিতে চাই।
কবিতার পাতায়
কবিতার খাতায়
লিখেছি কবিতা কত,
কবিতার গাছে
কবিতায় আছে
কবিতা ফুলেরই মত।
কবিতার খাতায়
কবিতার পাতায়
কবিতারা কথা কয়,
কবিতার আসরে
কালোর অক্ষরে
চির বন্দিনী হয়ে রয়।
কবিতার দেশে
কবিতারা এসে
আসরে কবিতা বলে,
আমার কবিতা
তটিনী হইয়ে
আপনবেগেতে চলে।
আমার কবিতা
ব্যথাভরা যত
ব্যথিতের অশ্রুজল,
আমার কবিতা
সরোবরে ফোটা
শত সহস্র শতদল।
আমার কবিতা
বৈশাখ মাসের
নিদাঘ দগ্ধ দুপুর,
আমার কবিতা
শারদ প্রভাতে
মায়ের আগমনী সুর।
আমার কবিতা
শুভ্র মেঘ হয়ে
ভ্রমিয়া ফিরে গগনে,
আমার কবিতা
ফুল হয়ে ফোটা
সাদা কাশফুলের বনে।
কবিতার গাছে
কবিতার পাতা
কবিতারা আশার মুকুল,
চেয়ে দেখো ঐ
কবিতার গাছে
ধরেছে পাঁচশত ফুল।
মায়ের পূজিতে
কিছু নাই দিতে
আমি যে অধম দাস,
মায়ের আশীষে
ভাষা আসে ভেসে
কবিতায় তার প্রকাশ।
এ শারদ প্রাতে
মায়েরে পূজিতে
মায়ের চরণ কমলে,
নিবেদিব আজ
কবি সভামাঝ
কবিতা তরুর মূলে।
বাজুক জয় ঢাক,
শংখ বেজে উঠুক
আজিকে মায়ের আগমনী ।
শারদ প্রভাতে
শুনি দিকে দিকে
দেবীর আগমন পদধ্বনি।