শুনি বসে গান মায়ের আগমনী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি)
গাঁয়ের পথে লাল ধূলো ওড়ে
গাঁয়ের ডাঙায় গোরুবাছুর চরে।
গাঁয়ের পথে শিশির ঝরা ঘাসে,
সকালের সোনালী রোদ হাসে।
গাঁয়ের পথে মরাল মরালী চলে,
সাঁতার দেয় দিঘির কালো জলে,
দিঘির জলে শালুক পদ্ম ফোটে,
দূরে কোথাও ঢাকের শব্দ ওঠে।
নদীর কূলে কাশ ফুলের বনে,
সাদা মেঘ ভাসে গগনে গগনে।
খেয়াঘাটে যাত্রীদের হাঁক ডাক,
আসে উড়ে শালিক পাখির ঝাঁক।
রাখালছেলে বসে গাছের ছায়ায়,
সবুজ মাঠে গোরু ও মোষ চরায়,
বাঁশি বাজায় কোমল মধুর স্বরে,
বাঁশির সুরে পরাণ পাগল করে।
শানবাঁধানো কাজলাদিঘির ঘাটে,
ছেলেরা রোজ দেখি সাঁতার কাটে।
কলসী কাঁখে শীতল তরুর ছায়,
গাঁয়ের বধূ জল নিয়ে ঘরে যায়।
সাঁঝের বেলায় প্রদীপ জ্বলে ঘরে,
সন্ধ্যায় আরতি শুরু হয় মন্দিরে।
ঢাকঢোল বাজে শুনি শংখ ধ্বনি,
শুনি বসে গান মায়ের আগমনী।