গগনচুম্বিত শৈলচূড়ায় ভরা গ্রীষ্মের তপন-তাপন
সন্তর্পণে ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খোঁজে,
সমতলের খরস্রোতা নদীকুলও যেন হার মানে
স্থির, শান্ত হয়ে লুকিয়ে থাকা আপন দহে।
কুঁকড়ে যাওয়া ধরার প্রান্তর ফেটে চৌচির
বিকেলের তপ্ত সমীরণ খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে,
দিগন্ত বিস্তৃত খোলা আকাশে তারা পাড়ি জমায়
হাঁপিয়ে যাওয়া সাত সতেরর দল নিজেরে শাসায়।
কর্মবিমুখ ভীরু সৈনিকের দল হা-হুতাশ করে
না দেখার ভানে পাচারকারীর পানে চেয়ে থাকা,
অলস শৌখিন মহীরুহসারির ঘৃণ্য আলসেমিতে
পৃথার করুণ চাউনি যেন গভীর বেদনামাখা।
ঘরের কোণে লুকিয়ে থাকা ভেককুল হাঁক পাড়ে
স্নিগ্ধ, শীতল বরিষণের আগাম বার্তার আহ্বানে,
ধরার সাঁঝে থরে থরে সাজানো মঙ্গলদীপের শোভা
পানীয়রুপে ধরা দেয় কালো মেঘের দারুণ মৃত্যুবাণে।
মত্ত আধুনিক রুগ্ন সমাজ আজ নতুন রাস্তা খোঁজে
কৃতকর্মের আফসোসে যেন নেই কোন আজ সাজে,
নরলোকে নরসুন্দর নিত্য আজ নরহত্যায় মগ্ন
নিরুদ্যম,নিরুদ্বিগ্ন,নিরুদ্দিষ্ট সবে হয়েছে যে বন্য।
———–