প্রথম হেরিনু যবে হিম শৈলচূড়ায়
চন্দ্র-সূর্যের লুকোচুরি খেলা গগনমাঝে,
তীক্ষ্ণ সরল দৃষ্টিতে ভোলালে মানবে
নিজেরে প্রকাশে মরিলে যে লাজে ।
সেবিতে সকলেরে সেবিকার বেশে
অকাতরে বিলালে আপন যা কিছু,
দেখেও দেখিলে না কভু আপনজনেরে
নিন্দিত অপমান ছাড়ে না তো পিছু।
অসীমকে সীমার মাঝে বেঁধেছ যে তুমি
দীনের দৈন্যকে হঠাতে সারাজীবন,
হারায়ে নিজ যত মান অভিমান
দেখালে সহজ কত জীবন ও মরণ।
সেবাকে বসায়ে দেবতার ‘পরে
ভুবন মাতালে ভালোবাসার ডোরে,
ছড়ালে যে হাসি সকলের তরে
মগ্ন হয়ে মত্ত রহিলে পীড়িতের দ্বারে।
অটুট রাখিলে সদা সেবিকার মান
বিনিময়ে না পাওয়া দয়া,ধ্যান,দান,
হাসিতে হাসিতে পেরোনো ঘৃণ্য সে সোপান
বন্ধু। বল না বিদায়,পাবে সুখেরই সন্ধান।
********