যাত্রাশেষে

ওরা জনাকয়েক বেরিয়েছিল ফিরে আসবে বলে।
কেউ বা গিয়েছিল শরীরকে ভাল রাখতে,কেউ রুজির তাগিদে-
আবার কেউবা নিছক মজার ছলে দেশকে জানবে বলে।
কথা রেখেছিল ওরা কাজ শেষ করে ফিরে এসে।
শুধু ক’জন- তারা কথা রাখেনি-
ফিরে আসব বলেও ফিরে আসেনি।

ফিরতে কিন্তু চেয়েছিল ওরা- ফিরতে পারে নি।
রেলের কামরায় দিনের শেষে রাত্রি প্রহরে স্বপ্ননিদ্রায় মগ্নকালে
বিধাতার অভিশাপে তাদের কালযাত্রা হোল শেষ-
বাঁচাও বাঁচাও বলে শেষ অক্সিজেনটুকু শুষে নিতে চাইলো,
সাড়া দিল না কেউ তাদের ডাকে–
কেউ যোগালো না বাঁচার রসদ্।
হয়তো তাদের ডাক কারুর কাছে পৌঁছালোই না।

শীতের চড়া রোদ্দুরে গরমের প্রভাব কাটাতে
ফিরতে চেয়েছিল ঠান্ডা আমেজে স্বপ্নযাত্রা শেষে,
হঠাৎ ঘটে যাওয়া অগ্নিদেবের রুষ্ট প্রহারে
বদ্ধঘরে দমবন্ধ হয়ে শেষ প্রহর গোনা হোল সাঙ্গ।
কার দোষে আর কেনই বা তারা হল আজ অস্তমিত।

এখনও তাদের অপেক্ষায় আত্মীয়-স্বজন
কিংবা মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান-সন্ততি,
বিনামেঘে বজ্রপাতে কুলহারানো জীবন্ত কারাগারে
ছাব্বিশটা জীবন শেষ করল তাদের স্বল্প জীবনযাত্রা
রুষ্ট বিধাতার ঘৃণ্য অভিশাপে–
কালের গতিতে এগিয়ে চলল বাকিদের ছন্নছাড়া জীবন ।
********

0.00 avg. rating (0% score) - 0 votes