মনে পড়ে সেদিনের সেই গিয়াসুদ্দিনের মোল্লার কথা
মৃত্যুপথে যেতে যেতে দৃঢ় কন্ঠে বলেছিল-
মৃত্যুর পর তাকে যেন কবর না দেওয়া হয়।
রাগে? অভিমানে? না তা কিন্তু নয়।
মনে মনে ভেবেছিল তার ঐ নশ্বর দেহকে
সে কাজে লাগাবে মানবিক স্বার্থে শিক্ষার অঙ্গনে।
দেহ সে দান করে গেছে তাদেরই স্বার্থে
যারা কিনা স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যতে কিছু করে দেখানোর আশায়।
গিয়াসুদ্দিনের নশ্বর দেহকে তারা ছিন্নভিন্ন করে
জানতে চায় মানবদেহের অন্তরের সাজানো বাগানকে-
যে বাগানে মালীস্বরুপ বিচরণ করে তারা
মানবসমাজকে আগলে রাখতে চায় দৈহিক সুস্থতার মোড়কে।
শব-ব্যবচ্ছেদের টেবিলে শোয়ানো তার ছিন্নভিন্ন দেহ
শিক্ষার্থীর দল নিত্য তাকে নিয়ে নাড়াচাড়া ক’রে
খুঁজে পেতে চায় তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অস্বাভাবিকতাকে
অসহায় ভাবে হাতড়ে খুঁজে মরে ব্যর্থ প্রয়াসে।
তার চোখ দুটো জ্বল জ্বল করতে থাকে
যেন ধীর স্থির নয়ন মেলে অবলোকন করে
তার দেহের অভ্যন্তরে হাতড়ানো অজানার দল
হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে না পাওয়ার সন্ধানে।
ওরা সকলেই চায় গিয়াসুদ্দিনের অতৃপ্ত আত্মা শান্তি পাক্
পড়ুয়ারা খুঁজে নিক অজানাকে জানার মাধ্যমে।
অমল, কিরণ, বিলকিস সকলেই ডানা মেলুক
নাম না জানা দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ আকাশে।।
*********।